মোঃ জুয়েল রানা, স্টাফ রিপোর্টারঃ
দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে স্বল্প পুঁজিতে শ্রম ও নিষ্ঠার কারণে মুরগির খামার দিয়েই জীবনে সফলতার পথ দেখছেন কুমিল্লা তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের দুলারামপুর গ্রামের মৃত আবুল লতিফ মেম্বারের ছেলে মুকুল (৫৩)
মুকুল ১৯৯০ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ছোট ভাই বোনদের পড়াশোনা ও সংসারের খরচ মেটাতে পাড়ি জমান সৌদি আরব। দীর্ঘ ৩০ বছর প্রবাস জীবন কাটানোর পর ২০২০ সালে করোনাকালে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে এসে আবার কর্মস্থলে ফেরত না যেতে পেরে বিপাকে পরে প্রবাসী মুকুল। দুশ্চিন্তায় পরে যায় কি করবে বাংলাদেশে। পরে পোল্ট্রি মুরগির খামার করতে আগ্রহী হন। এরপর নিজের জায়গায় ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থ একটি মুরগির শেড তৈরি করে শুরু করেন পোল্ট্রি মুরগি পালন।
এক বছর পোল্ট্রি মুরগি পালনের পর সিদ্ধান্ত নেন ফাউমি মুরগি পালনের। বর্তমানে ফাউমি মুরগির পালনে মুকুল সফলতার পথ দেখছেন।
খামারের মালিক মুকুল জানান, আমি একজন প্রবাসী ছিলাম, ২০২০ সালে করোনার সময় বাংলাদেশ ছুটিতে এসে আর জাইতে পারি নাই এবং দুশ্চিন্তায় পরে যাই তখন সিদ্ধান্ত নেই মুরগির খামার করবো। পরে আমার নিজ জমিতে পোল্ট্রি মুরগি পালন শুরু করি। এক বছর পোল্ট্রি মুরগি পালনের পর বর্তমানে ডিমের জন্য ফাউমি মুরগি পালন শুরু করেছি। কারন ফাউমি মুরগি পালন করতে পোল্ট্রি মুরগির চেয়ে সহজ, খরচ কম ও অধিক লাভ। এখন আমার খামারে ১ হাজার ফাউমি মুরগি রয়েছে যার বয়স ৪ মাস আগামী ২ মাস পর থেকে ডিম দেওয়া শুরু করবে। আশা করি এই থেকে ২/৩ লাখ টাকা লাভ হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই আমি এপর্যন্ত এসেছি। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেলে আমার খামারটি আরও বড় করবো।
এবিষয়ে তিতাস উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের এলইও আল-আমিন মিয়া বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খামারি মুকুল আমাদের কাছে আসেননি। এসব খামারিদের আমরা সবসময় সার্বিক সহযোগিতা করি। তিনি আমাদের কাছে এলে তাকে আমরা ওষুধসহ অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা করব।