মোঃ ইয়াছিন চৌধুরী : বরুড়ায় ভিসা দেওয়ার নাম করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ। কুমিল্লার, বরুড়া উপজেলার শাকপুর ইউনিয়নের চৌধুরী গ্রামের হাজী বাড়ির, মৃত আব্দুর রহিম এর পুত্র দুবাই প্রবাসী, নাসির দীর্ঘদিন দুবাইতে অবস্থানকালে চাকরির পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ভিজিট ভিসা বাণিজ্য করে আসছিল, এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন লোকদের ভিসা দেওয়ার নাম করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গতবছরের মঙ্গলবার ১২ ইং অক্টোবর ২০২১, দৈনিক বাংলার আলোড়ন পত্রিকায়, নাছিরের প্রতারণা নিয়ে একটি প্রতিবেদন সংবাদ প্রচার হয়।
সংবাদটি প্রচার হওয়ার পর নাসির ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন যাতে করে কেউ যেন মামলা নাকরেন। এবং বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিতে থাকেন দিনের পর দিন সবাইকে নানান কথা বলে আসছিলেন এই প্রতারক নাসির। কখনো বা কাউকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কখনো বা কাউকে ব্যাংকের চেক দিবেন এই বলে দিনের পর দিন পার করতেন ।
হঠাৎ গত ২৭/০১/২০২২, রাত আনুমানিক ১১:০০টার সময় নাসির ফোন দেন। মো:হাসান চৌধুরীকে তার কাছে বলেন আমি এখন এয়ারপোর্টে আছি বিদেশ থেকে আসার পর কাস্টম দেরি হয়ে গেল এত রাতে বাড়ি যাওয়া রিক্স এর ব্যাপার তাই আমাকে আজকে রাতটা থাকার ব্যবস্থা করে দেন ।
হাসান কোন কিছু না ভেবে তার শশুর বাড়ি আত্মীয় বলে তাকে তার, তুরাগ থানা রানাভোলা সিরাজ মার্কেট সংনগ্ন আব্দুল মান্নান এর বাড়ি, ভাড়া বাসায় রাতের খাবার খাওয়ানোর সহ থাকার ব্যবস্থা করেন । রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে নাসির তার প্রতারণার জাল বিস্তার করতে থাকে । নাসির তার মোবাইল দিয়ে মেসেজ দিতে থাকেন তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে তাদেরকে বলেন।
আমরা নাকি তাকে জোরপূর্বক আটকে রেখেছি বিষয়টা সকালে পুলিশ আমাদের বাসায় আসলে তখন বুঝতে পারি যে সে আমাদেরকে ফাঁসিয়েছে। হাসান আরো বলেন আমরা তাকে আশ্রয় দিয়েছিলাম আটকে রাখি নাই কিন্তু কেউ আমার কথা শুনেন নাই আমাকে জোর করে থানায় আটকে রাখা হয়েছে এবং আমার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি এই প্রতারনার ও মিথ্যা অভিযোগ এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আমি হাসান নিরপরাধ।
সে আরো অনেক গ্রাম এর নিরীহ মানুষের গরীব মানুষের সাথে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে লোক এর সাথে প্রতারনা করে প্রায় ৫৫লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে তাদের জালি ভিসা দিয়ে প্রতারনা করেছে এবং যেটা আমাদের দেশ এর আইন এ দন্ডনীয় অপরাধ। তার নিজস্ব কোনো দপ্তর বা এজেন্সি নেই সে জালি কাগজ মানুষ কে দেখিয়ে নিজেকে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস এর লোক দাবি করে জালি ভিসা এর কার্যক্রম সফল ভাবে পরিচালনা করে আসছে।
প্রতারক নাসির একজন ভুক্তভুগী কে ৩০লক্ষ টাকা এর একটি চেক দেয় পরে ব্যাংক এ প্রমাণ করা হয় চেক টির তারিখ ও শাল ভুল দেয়া রয়েছে পরে সে আরেকটি ব্লাঙ্ক চেক দেয় ৩০লক্ষ টাকার ।আমরা তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি বহুবার কিন্তু সে মিথ্যা ঠিকানা দিয়ে প্রতারনা করে আসছে। অবশেষে সে ২৭/১/২২ ইং তারিখ এ আমাকে ফোন দিয়ে একরাত থাকার জন্য আশ্রয় চায় আমিও তাকে মেহমান এর মর্যাদা দিয়ে আমার ঘরে রাখি কিন্তু সে আমাকে ঐখানেই মিথ্যা জাল এ ফাঁসিয়ে পলায়ন করেন।