আল আমিন(স্টাফ রিপোর্টার):-
ঢাকার আশুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিরা আক্তার (১৮) নামের এক গার্মেন্টস কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার সকালে এব্যাপারে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী তরুণীর ভাই। বেধড়ক মারধর করে লাঞ্ছিত করেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীর। এরআগে গত ২১শে সেপ্টেম্বর জামগড়ার শিরু মার্কেটের উত্তর পার্শ্বে জিয়ার ভাড়া বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার ঘোরাদাই গ্রামের মো. রুমান (৪৫), তার স্ত্রী খাদিজা (৪২) ও মেয়ে তাজরিন (২০)। তারা তিন জনে মিলে মারধর ও কামড়িয়ে রক্তাক্ত জখম করে উল্টো থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, রোমান গত ১ মাস ধরে তাদের পাশের ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। এরমধ্যেই আশেপাশের ভাড়াটিয়াদের ব্যাপক মারধর করা শুরু করেন। তিনি পুলিশের ভয় দেখিয়ে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করেন ভুক্তভোগীদের। ফলে কেউ থানায় যেতে সাহস পায়নি। গত ২১ সেপ্টেম্বর একটি বিড়ালকে কেন্দ্র করে হিরা আক্তারকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে তারা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে ভোর ৪ টার সময় পুলিশ নিয়ে আসেন। আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম ভোর ৪ টার সময় বাসায় এসে মামলার ভয় দেখান। আমাদের মারধর করে আমাদেরই মামলার ভয় দেখিয়ে গেছে। আমরা এখনও আতঙ্কে রয়েছি।
পার্শবর্তী ভাড়াটিয়া ফাতেমা বেগম বলেন, রোমান এসেই মারামারি শুরু করেছে। তাকে কিছুই বলা যায় না। তিনি কিছু বললেই পুলিশের ভয় দেখান। সামান্য বিষয় নিয়ে পুরুষ মানুষ হয়ে মেয়ে মানুষকে কামড়িয়ে রক্তাক্ত করেছে। এরা আবার তারাই পুলিশ নিয়ে এসে শাসিয়ে গেছেন।
এব্যাপারে ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নেওয়া ফার্মেসী ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, রোমান অত্যন্ত আক্রমনাত্বক হয়ে আমার দোকানে আসে। এখানেও ভুক্তভোগী মারধর করতে উদ্যত হন। পরে এলাকাবাসী তাকে চলে যেতে বলেন। ভুক্তভোগীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আপনি থানার দিকে আসেন। পরবর্তী আবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোর্টে যাচ্ছি ভাই। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম কি না এই মহুর্তে মনে করতে পারছি না।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) ভজন কুমার বলেন, আমি ঘটনাস্থলে অভিযোগের তদন্তে এসেছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাতে পারবো।