এম রাসেল সরকার:
ধর্ষণে সহযোগিতার মামলার আসামি হয়ে ছুটিতে থাকা অবস্থায়ই পদত্যাগ করেছেন রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফৌজিয়া রাশেদী। তাঁর পদত্যাগপত্র প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের (গভর্নিং বডি) সভায় সম্প্রতি গৃহীত হয়। ওই সভায় গভর্নিং বডির সভাপতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান সভাপতিত্ব করেন।
শনিবার গভর্নিং বডির পরবর্তী সভায় আগের সভার কার্যবিবরণী নিশ্চিত করা হয়। এর পর বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন।
গভর্নিং বডির একাধিক সদস্য জানান, অধ্যক্ষ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। ফৌজিয়া রাশেদীর স্বাভাবিক চাকরির মেয়াদ আর মাত্র ২২ দিন ছিল। তিনি পদত্যাগ করায় প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখার এমপিওভুক্ত জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক মিজানুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত ১ আগস্ট অধ্যক্ষ ফৌজিয়া রাশেদী এবং কলেজের দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণ এবং এতে সহযোগিতার অভিযোগে আদালতে নালিশি মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা সাইফুল ইসলাম। আদালতের নির্দেশে ৮ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। মামলার পরপরই পায়ে ব্যথার কারণ দেখিয়ে দুই মাসের ছুটিতে যান অধ্যক্ষ ফৌজিয়া।
এদিকে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিভাবক ফোরামের চেয়ারম্যান ফাহিমউদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক রোস্তম আলী রোববার এক বিবৃতিতে বিতর্কিত বর্তমান গভর্নিং বডিরও পদত্যাগ চেয়েছেন। তাদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ ফৌজিয়া ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে লটারি ছাড়াই বিভিন্ন শ্রেণিতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করিয়ে কোটি কোটি টাকার ভর্তি বাণিজ্য করেছেন। এ ছাড়া এনটিআরসিএর অনুমোদন ছাড়াই ২০২৩ সালে ৫৯ শিক্ষক-শিক্ষিকা অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে বাণিজ্য করেছেন।
তারা অধ্যক্ষ ফৌজিয়া রাশেদীর দায়িত্ব পালনকালীন সব অবৈধ কর্মকাণ্ড, ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্য তদন্ত করে শাস্তির আওতায় না আসা পর্যন্ত অধ্যক্ষের দেনা-পাওনা পরিশোধ না করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।