মাধবপুর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি,ইমদাদুল ইসলাম :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে গরু চুরি করার জন্যই রাখাল বাবুল মিয়াকে (৪৮) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম মুরাদ আলী। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) আদালতে সোপর্দ করা হয়। শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এসপি মুরাদ আলী। তিনি জানান, রাখাল বাবুল হত্যাকাণ্ডে ইতোমধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
হত্যার শিকার বাবুল মিয়া উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ইটাখোলা গ্রামের মৃত ছায়ের আলী সরদারের ছেলে। গত ১৮ জুলাই জগদীশপুর বিটের রঘুনন্দন পাহাড়ে বদনারমোড়া এলাকার একটি জঙ্গলে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ১৫ জুলাই সকালে বাবুল মিয়া বাড়ির পূর্বপাশে রঘুনন্দন পাহাড়ে ঘাস খাওয়ানোর জন্য ৭টি গরু নিয়ে যান। তবে সন্ধ্যায় গরুগুলো বাড়ি এলেও তিনি ফিরেননি। এর তিন দিন পর (১৮ জুলাই) তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই হত্যাকাণ্ডের সূত্র (ক্লু) উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে চুনারুঘাট উপজেলার কালিনগর গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়াকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এ সময় হত্যায় জড়িত অন্যদের নামও প্রকাশ করেন তিনি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ভোরের দিকে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে চুনারুঘাট উপজেলার বাসিন্দা বশির মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, আব্দুল জাব্বার, জিলু মিয়া ও সবুজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সামছুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. খলিলুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল) নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, শায়েস্তাগঞ্জ থানার (ওসি) শেখ নাজমুল হক কামাল, মাধবপুর থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম খানসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।