লোকবল নিয়োগ না দিয়েই চালু হয়েছে ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নার্সিং ইনস্টিটিউট, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

received_1434875633757425.jpeg

মোঃ ফিরোজ,বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি: সারা বাংলাদেশে নার্সদের যে সংকট রয়েছে সেই সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নার্সিং ইনস্টিটিউট চালু হয়েছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাউফলেও চালু হয়েছে সরকারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নার্সিং ইনস্টিটিউট অথচ পরিপূর্ণ জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য সারাদেশে নার্সের সংকট রয়েছে। গত জুলাইয়ে চালু করা হয়েছে পটুয়াখালীর বাউফলে একটি নার্সিং ইনস্টিটিউট। কিন্তু প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ না দিয়েই এটি চালু করায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির দাপ্তরিক কার্যক্রমের পাশাপাশি পাঠদান কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই বাউফল উপজেলার সরকারি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নার্সিং ইনস্টিটিউটে পাঠদান শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে এখন পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একজন অধ্যক্ষ ও একজন পরিদর্শক। এ কারণে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কাজও তাদের করতে হচ্ছে। অতিথি শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম।
নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোছা. মরিয়ম বেগম বলেন, এখন পর্যন্ত জনবল কাঠামো তাকে দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, এভাবে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তাই শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে জরুরি ভিত্তিতে চারজন শিক্ষক, দুজন বাবুর্চি, একজন দারোয়ান, একজন নৈশপ্রহরী, একজন অফিস সহায়ক ও দুজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চাহিদা চিঠি দিয়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।
ঢাকার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের ইনস্ট্রাক্টর খোরশেদ আলম জনবলকাঠামো প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ রকম কোনো তথ্য তাদের কাছেও নেই। তবে নতুন পদ সৃষ্টির জন্য তারা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেন। তারা যখন যেটা মনে করেন, তখন সেটা দেন। তবে পুরনো নার্সিং কলেজগুলোয় সব মিলিয়ে শিক্ষক, ইনস্ট্রাক্টর ৩০ থেকে ৪০টি পদ রয়েছে।
কলেজ সূত্র জানায়, এ বছরই কলেজটিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪৩। এর মধ্যে দুজন পুরুষ শিক্ষার্থী ছাড়া সবাই নারী শিক্ষার্থী। নারী শিক্ষার্থীদের সবাই কলেজ ক্যাম্পাসের আবাসিক কক্ষে থাকেন। শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ায় চারজন অতিথি শিক্ষক দিয়ে সাতটি বিষয়ের পাঠদান করা হচ্ছে।
পরিদর্শক মোছা. ফেরদৌসি বলেন, ‘দুজন ব্যক্তির পক্ষে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীসহ কলেজ পরিচালনা খুবই কষ্টের। পাঠদান করানো ছাড়াও পতাকা টাঙানো ও মাঝেমধ্যে ফটক খুলে দেওয়া ও আটকানোর কাজও আমাদের দুজনকেই করত হয়।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top