মতিউর রহমান তালুকদার, পটুয়াখালী জেলা দক্ষিণ প্রতিনিধি::-মৌসুমি ফল তরমুজ আবাদে অন্যতম সুপরিচিত এলাকা পটুয়াখালীর জেলার গলাচিপা উপজেলা। এ উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নের মানুষ রসালো ফলটির আবাদের সঙ্গে জড়িত। আমাদের দেশে যেসব উন্নতমানের তরমুজ পাওয়া যায় তা দেশের বাইরে থেকে আমদানিকৃত সংকর জাতের বীজ থেকে চাষ করা হয়ে থাকে। জলবাযু ও মাটিঃ শুষ্ক,উষ্ণ ও প্রচুর সুয্যের আলো পায় এমন স্থানে তরমুজ ভালো হয়ে থাকে। তবে অধিক আর্দ্রতা তরমুজ চাষের জন্য ক্ষতিকর। খরা ও উষ্ণ তাপমাত্রা সহনশীলতা তরমুজের অনেক বেশি। উর্বর দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য উত্তম। ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি চাহিদা থাকায় এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান অর্থকরী ফসল তরমুজ, গত বছরের বন্যা ও বৃষ্টির কারণে ফলন পঁচে যাওয়াতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা ঋণের বোঝা কাঁধেনিয়ে দুশ্চিতায় দিন পার করছেন । অপরদেক দাদন দ্বারদের প্রতিমাসেই পরিশোধ করতে হচ্ছে মুনফার টাকা । এর মধ্যেই আসন্ন তরমুজ মৌসুম নিয়ে হতাশ আর দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন চাষীরা। চাষীরা জানান, একদিকে কাঁধে ঋণের বোঝা অপরদিকে বড় বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে স্থানী কিছু দালাল ও অসাধু সরকারী কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। তরমুজ চাষে প্রয়োজনীয় করতে মাঠ বা (খলা) প্রস্তুত শেষ মুহর্তে চাষ কাজে বড়বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে স্থানীয় ভূমি সরকার প্রশাসন । চাষিদের পাশাপাশি দিনমজুররাও প্রতি বছর এই মৌসুমের অপেক্ষায় থাকে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় পটুয়াখালী গলাচিপার তরমুজের গুণগতমান ভালো হওয়ায় দেশজুড়ে সুনাম কুড়িয়েছে। ফলে এ এলাকার তরমুজের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু এবারে কেউ মূলধনও ফিরে পাবে না বলে মনে করছেন । যার কারণে এবার তরমুজ চাষিদের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি সম্মুক্ষিণ হতে হবে মনে করছেন চাষীরা । চাষীদের আরও বিস্তারিত সংবাদ নিয়ে থাকছি আগামী পর্বে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।