রিপোর্টার, মোঃ আল আমিন :-
আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সরকারি অর্থায়নে রাস্তা নির্মাণের পর রাস্তার মাঝখান থেকে ইট তুলে ফেলেছেন এলাকার চিহ্নিত এক ব্যক্তি। স্থানীয় ভুমি দালালচক্রের যোগসাজসে রাস্তাটির ইট ফেলা হয়েছে বলে ভুক্তভোগি মানুষের অভিযোগ।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর ) ভোর ছয়টায় উপজেলার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ধনাইদ এলাকাইয় এ ঘটনা ঘটে। এতে রাস্তাটি কোন কাজেই আসবেনা বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এর প্রতিকার দাবিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ২০২২-২৩অর্থবছরে কাজের বিনিময়ে টাকা প্রকল্পের আওতায় ইয়ারপুর ইউনিয়নের ধনাইদ পূর্ব পাড়া সেলিম তালুকদারের বাড়ির সামনে থেকে তাজপুর সৈয়দ আলী বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬ শত ফিট একটি ইট সলিং রাস্তা নির্মাণ করে ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে । রাস্তাটি নির্মাণের তিন দিন পর স্থানীয় জমির দালালচক্রের যোগসাজসে মঙ্গলবার ভোর ছয়টার সময় দুটি জমির পরিমাপ করে রাস্তাটির মাঝখানে ইট বালু সরিয়ে নেয় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পাঁচ নং ওয়ার্ডের শূরুপাইতলী গ্রামের বাসিন্দা মো. তোজন মন্ডল পিতা. বাসুউদ্দিন মন্ডল ভোর ছয়টার সময় লোক চক্ষুর আড়ালে এ রাস্তাটির ইট সলিং ভেঙে দিয়ে রাস্তাটির ক্ষতি সাধন করে। পথচারিরা তাদের বাঁদা দিলে তারা তাদের বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করেই রাস্তাটি ভেঙে ফেলে। ফলে দুই গ্রামের মধ্যে সেতুবন্ধন ব্যহত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
এব্যাপারে ধনাইদ গ্রামের যুবক মো. মহিরুল ইসলাম বলেন,তিন দিন আগে ইয়ারপুর ইউনিয়নের সেলিম তালুকদারের বাড়ির সামনে থেকে তাঁজ পুর সৈয়দ আলীর বাড়ি পর্যন্ত একটি রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হয় সরকারি টাকায়। দুই পাশের জমির মালিকদের সম্মতিক্রমেই রাস্তাটি শুরু হয়। জমির দালালচক্রের কথা শুনে মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করে তোজন মন্ডল রাস্তার মাঝখানের ইট তুলে ফেলে।
এব্যাপারে তোজন মন্ডল বলেন, আমাদের জমির রাস্তার প্রয়োজন নেই । তাই একটি রাস্তা ভেঙে ফেলেছি।
এ ব্যাপারে ইয়ারপুর ইউনিয়নের সচিব.মো:আব্দুল হালিম বলেন, কোন রাস্তা ভেঙে ফেলায় উচিৎ নয়। রাস্তা তো নির্মাণ হয় মানুষের যাতায়াতের সৃুবিধার জন্য। তদন্ত করে এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।