মো:ফিরোজ,বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা পরিষদের পরিত্যক্ত দ্বিতল ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম। ভবনটি ৫-৬ বছর আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। সরকার এই ভবনের পেছনে সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে চারতলা বিশিষ্ট একটি নতুন পরিষদ ভবন নির্মাণ করলেও ওই ভবনে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে পুরানো ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজকর্ম করতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাউফল উপজেলায় সরকারের ৩৩টি দপ্তর রয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়সহ মোট ১২টি সরকারি দপ্তরের কার্যালয় পুরানো পরিষদ ভবনে ছিল। বাকি সরকারি দপ্তরগুলো তাদের নিজস্ব ভবনে কাজকর্ম পরিচালনা করেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে উপজেলা পরিষদের দ্বিতল ভবন ও একটি অডিটোরিয়াম ভবন নির্মাণ করা হয়। পুরানো ভবন ও অডিটোরিয়ামটি ৫-৬ বছর আগেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই পুরানো উপজেলা পরিষদের পেছনে ও সামনে পূর্ব পাশে সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে চারতলা বিশিষ্ট একটি উপজেলা পরিষদ ভবন ও একতলা বিশিষ্ট একটি অডিটোরিয়াম ভবন নির্মাণ করে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে পরিষদ ভবন ও অডিটোরিয়ামের নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং চলতি বছর ২২ মে ভবন দুটির উদ্বোধন করা হয়। চারতলা বিশিষ্ট উপজেলা পরিষদ ভবনে মোট ৩১টি কক্ষ রয়েছে। এ ভবনটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকৌশলী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সমাজ সেবা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তর হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ছয়টি দপ্তর ৩১টি কক্ষ ব্যবহার করছে। বাকি ছয়টি দপ্তর অর্থাৎ কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সমবায় কর্মকর্তা, খাদ্য কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তা পুরানো উপজেলা পরিষদ ভবনে তাদের দাপ্তরিক কাজকর্ম করছেন। পুরানো পরিষদ ভবনের ছাদ, কলাম, দেয়াল ও বীমে বিশাল ফাটল ধরেছে। লোহার রড বেড়িয়ে গেছে। যেকোনো সময় পুরানো ভবন ধ্বসে হতাহতের আশংকা করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজী বলেন, নতুন পরিষদ ভবনে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ছয়টি সরকারি দপ্তরকে পুরানো ভবনে কাজকর্ম করতে হচ্ছে। ভবনটি যদিও ঝুঁকিপূর্ণ।