গাজীপুর প্রতিনিধি:
মোঃ আব্দুল হামিদ, রির্পোটার বাংলাদেশ দিন প্রতিদিন।
গাজীপুরে ৭ বছরের শিশু কন্যা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ১ আসামীকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা পুলিশ। হত্যার শিকার মারিয়া আক্তার (৭) শেরপুর জেলার নলবাইদ এলাকার মনজুরুল ইসলামের মেয়ে। শিশু মারিয়া পরিবারের সাথে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করতো এবং গাজীপুর চান্দনা প্রতিভা মডেল স্কুলের নার্সারীর ছাত্রী ছিলেন। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামী মোঃ জুলের(৩৯) বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার উলানিয়া গ্রামের মোঃ আঃ লতিফের ছেলে। সে গাজীপুর মহানগর চান্দনা, বৌ-বাজার এলাকার বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানায় গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার(অপরাধ) আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান। মঙ্গলবার সকালে (১৬ জানুয়ারী) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান আরো জানান, গত রবিবার (১৪ জানুয়ারী) শিশু মারিয়া আক্তার চান্দনা চৌরাস্তার এলাকায় ভাড়াকৃত বাসার উঠান থেকে বিকালে নিখোঁজ হয়। পরের দিন ১৫ জানুয়ারী বাসন থানা পুলিশ তেলিয়াপাড়া এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে। পরে নিখোঁজ শিশুর পরিবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মারিয়া আক্তারের মৃতদেহ হিসেবে সনাক্ত করে। শিশু মারিয়ার মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল সম্পন্ন করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
উপ-পুলিশ কমিশনার আরো জানান, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ স্থানীয় গোয়েন্দা তথ্য এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকারী মোঃ জুয়েলকে বাসন থানা এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামী জুয়েল জানায়, শিশু মারিয়ার পিতা মনজুরুলের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে সে মারিয়াকে কৌশলে ঘটনাস্থলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর ওই স্থানের ঝোপঝাড়ের ভিতরে গাছের লতা-পাতা দিয়ে মরদেহ ঢেকে পালিয়ে যায়। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।