জনবল সংকটে হবিগঞ্জে বন্যপ্রাণী উদ্ধার অভিযান ব্যাহত।

received_1672637403143207.jpeg

স্টাফ রিপোর্টার,ইমদাদুল ইসলাম :-

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, উদ্ধার ও উদ্ধার পরবর্তী সেবাসহ এই সংশ্লিষ্ট বহুমাত্রিক কাজ করে থাকেন বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়। ওই কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলায় পর্যাপ্ত জনবল থাকলেও কিন্তু হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে লোকবল সংকটে রয়েছে। মাত্র একজন ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা, একজন বাগান মালি ও একজন নৈশপ্রহরী নিয়ে বেহালদশায় চলছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের মতো স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মযজ্ঞ।

লোকবল সংকটের কথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করলেন ওই কার্যালয়ের দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী। তিনি জানান, বন্যপ্রাণী উদ্ধার অভিযানের সরকারি খরচ এমনকি বাজেটও মিলছে না।

তিনি বলেন, হবিগঞ্জসহ আরও ৫ জেলার বন্যপ্রাণী উদ্ধারসংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড করে থাকি। একজন মালি ও একজন নৈশপ্রহরী ছাড়া অফিসে আর কোনো স্টাফ নেই। তারপরও জান প্রাণ দিয়ে বিশাল এলাকার অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।

কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলাসহ সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও নেত্রকোনা জেলার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও উদ্ধারসহ যাবতীয় কাজ ওই বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের হবিগঞ্জ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় করে থাকে। এদের কার্য এলাকার মধ্যেই রয়েছে লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, রেমা-কালেঙ্গা, হাকালুকি হাওর, বাইক্কা বিলসহ অসংখ্য হাওর-বাঁওড় ও অভয়ারণ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বন্যপ্রাণীদের বিচরণ ক্ষেত্র।

অভিযোগ রয়েছে, হবিগঞ্জ জেলার জাতীয় তথ্য বাতায়নেও এই অফিসের কোনো নাম ও তথ্য অন্তর্ভুক্ত নেই। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা আইসিটি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, বন অফিস থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি কেউ।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সীমিত লোকবল দিয়েও আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি বন্যপ্রাণীর সেবা মান সুনিশ্চিত করতে। তবে হবিগঞ্জের ওই অফিসের লোকবল সংকট নিরসনে আমরা অধিদপ্তরের মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ কররো ইনশাআল্লাহ।

বন্যপ্রাণী স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন পাখিপ্রেমিক সোসাইটির যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্যালয়ে তিনজন লোকবল দিয়ে ৬ জেলার বন্যপ্রাণী উদ্ধারে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে অত্র এলাকায় বন্যপ্রাণীর উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। আমরা এই সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি দেব। লোকবল সংকটের সমস্যা সমাধান না হলে সকলকে নিয়ে মানববন্ধনও করতেও রাজি আছি।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top