ডেভিড সাহা,স্টাফ রিপোর্টার:-
নজরুল বাঙালি ভাইয়া আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য কাব্য পরিষদের কাব্যমণি ,মধ্যমণি একথা অস্বীকার করার মতো সাহস কিংবা উপায় কারোরই নেই। হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ আন্তর্জাতিক পৌঁছে গেছে পরিচিতি আর খ্যাতির গল্পের চূড়ায়। এ অর্জনের, গৌরবের মহানায়ক খ্যাতিমান কবি ও গীতিকার নজরুল ইসলাম বাঙালি। ৮টি দেশের পাঁচ শতাধিক কবি লেখকদের নিয়ে ৮টি গেইট করে, গার্ড অব অনার দিয়ে তিনি দু দুবার বিশাল সম্মেলন এবং অভিষেক অনুষ্ঠান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সারা বাংলাদেশে যে প্রশংসা তিনি অর্জন করেছেন তা কবি লেখকেরা কোনদিন ভুলে যেতে পারবেন না।সিঁড়ি দিয়ে যখন মানুষ উপরে উঠে তখন মানুষটাকে নামানোর জন্য নীচে থাকা মানুষগুলোর চেষ্টার শেষ নেই, এ গল্পটি সবারই জানা।নজরুল বাঙালি ভাইয়ার দুটো সম্মেলন এবং অভিষেক অনুষ্ঠানের থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। আমাকে কতোটা সম্মান তিনি দিয়েছিলেন এমন সম্মান মানুষ স্বপ্নেও আশা করে না।রীতিমতো আমার চোখে পানি এসে গিয়েছিল,হয়তো সবার চোখের আড়ালে আমি কেঁদেও ছিলাম। মানুষ মানুষকে এতোটা সম্মান করতে পারে স্নেহ করতে পারে আমি আসলে নজরুল বাঙালি ভাইয়া আমার এই প্রিয় ভাইটিকে না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারতাম না। তিনি সব সময় বলেন,আমি নাকি উনার মায়ের পেটের বোন, আমিও ঠিক একিই কথা বলি। আমার এই প্রিয় ভাইটিকে আমি অসম্ভব ভালোবাসি।কয়েকদিন আগে ঢাকার পথে বাঙালি ভাইয়ার সাথে হঠাৎ দেখা, কি যে আনন্দ হচ্ছিল আমার, একটি রেস্তোরাঁয় বসে কতো গল্প করলেন, কতো কিছু খাওয়ালেন আচ্ছা এই সব ঋণ গুলো কি কোনদিন শোধ করা যায়? আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য কাব্য পরিষদ নজরুল বাঙালি ভাইয়ার অবদান যখন আকাশের চূড়ায় ঠিক সে মূহুর্তেই যেন শুরু হলো ঝামেলা। আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য কাব্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মজুমদার ভাই আর নজরুল বাঙালি ভাইয়ার সাথে মনোমালিন্য সৃষ্টি করে দিলেন একটি দল। নির্জীব হয়ে যাচ্ছিল আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য কাব্য পরিষদ। এগিয়ে আসা এতো বড় সংগঠনটি যদি ভেঙে যায় তাহলে কতোটা কষ্ট হবে সবার, আর কী কোনদিন উঠে দাঁড়াতে পারবে এ সংগঠন? এ সংগঠনটির আমিও একজন সদস্য আমারও তো দায়িত্ব আছে,কর্তব্য আছে। নজরুল বাঙালি ভাইয়ার সাথে বার বার কথা বললাম, বললাম এ সংগঠনটিকে বাঁচান,তিনি এককথায় বললেন,আমি আন্তর্জাতিকে আর নেই, এইসব নিয়ে আমার সাথে আর কথা বলো না।এদিকে আন্তর্জাতিকের আবার কমিটি করতে হবে, শাহজাহান ভাইয়া এ নিয়ে আমাদের সাথে কথা বললেন। আমাদের সবার মন খারাপ নজরুল বাঙালি ভাইয়ার কারণে, তিনি না থাকলে এ সংগঠনটি কেমন যেন অসহায় অসহায়। তারপর সবাই সিদ্ধান্ত নিলেন, আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দিবেন, আমি সাথে সাথেই বললাম এতো বড় দায়িত্ব নেয়ার সাহস আমার নেই, আমি পারবো না। তারপর অনেক বার মিটিং হলো,আলোচনা হলো তারপর আবার সবার একি কথা আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া। আমি দায়িত্ব নিলাম এবং এ দায়িত্ব নজরুল বাঙালি ভাইয়ার বোন হিসেবে নিয়েছি, আন্তর্জাতিক নজরুল বাঙালি ভাইয়ার এবং শাহজাহান মজুমদার ভাইয়ার। সংগঠনটিকে বাঁচানোর জন্য আমার এতো বড় দায়িত্ব নেয়া এবং নজরুল বাঙালি ভাইয়ার কারণেই নেয়া। আমি খুব শীঘ্রই ফেনীতে আসবো এবং আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য কাব্য পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব নজরুল বাঙালি ভাইয়ার হাতে বুঝিয়ে দিবো। আমার ভাইটি আমার জন্য এতোটা করলো আর আমি উনার বোন হয়ে উনার সংগঠন বাঁচাতে পারবো না,,উনার জন্য কিছুই করতে পারবো না? বাঙালি ভাইয়া আপনাকে বলছি, পৃথিবীর সব মানুষ বেঈমান না, সবাই যদি বেঈমান হতো তাহলে পৃথিবী টিকে থাকতো না। আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য কাব্য পরিষদ আপনার আমার সবার।আমাদের সুন্দর মন মানসিকতা, চিন্তা ভাবনা এ সংগঠনটি উজ্জ্বল হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে পৃথিবীর বুকে। আমাদের সুন্দর লড়াইয়ে অসুন্দরের হামলা প্রতিবার ব্যর্থ হবে।গর্বিত ভাবে বেঁচে থাকবে পৃথিবীর সমস্ত নির্মল স্বপ্ন। নীলিমা আক্তার নীলা জানান।