মুন্সিগঞ্জের দিঘির পাড় পুলিশ ফাড়ির সামনে দুইপক্ষের মারামারিতে বাবা নিহত, ছেলে গুরুতর আহত।

received_1467143924226074.jpeg

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে পুলিশ ফাড়ির সামনে দুইপক্ষের মারামারির সময় সোহরাব খান (৫৫) নামের সাবেক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে নিহত সোহরাবের ছেলে জনি খান (৪২)। তাকে উন্নত  চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে দীঘিরপাড় বাজার এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে।  নিহত সোহরাব দিঘীরপাড় ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় খান বাড়ির বাসিন্দা।

এদিকে এঘটনার পর  দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহ আলমের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলে তদন্ত কেন্দ্রে হামলা ও ভাংচুর করেছে উত্তেজিত জনতা। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করা মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, নিহত সোহরাব খানের সঙ্গে ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ভোলা হালদার ওরফে ভোলা মেম্বারের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। সেই ঘটনায় সোমবার দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে আসে দুইপক্ষ। এসময় বিরোধে জড়িয়ে পড়লে ভুলু ও তার দুই ছেলে রিজভী ও রিহান সহ ৭-৮ জন সোহরাব ও জনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের উদ্ধার করে টংগিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক সোহরাব খানকে মৃত ঘোষণা করেন। জনির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাস পাতালে প্রেরণ করা হয়।

এ বিষয়ে টংগিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, নিহত সোহরাব খানের মাথায় ও বুকে গুরুতর ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া আহত জনি খানের মাথায়,বুকে ও পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সুপার আসলাম খান।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top