শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি,মোঃ (শিপু):-
শ্রীনগর উপজেলার কমলাকান্ত ইনস্টিটিউশনের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি
আশংকা করে নির্বাচন স্থগিতের আবেদন করা হয়েছে। ১৩ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও বিদ্যালয়ের অভিবাবক সদস্য সুলতান মেম্বার ও দাতা সদস্য মো. আনিছ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এই আবেদন করেন। আগামী ৪ জুলাই বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
নির্বাচনের আগে নির্বাচন প্রক্রিয়ার অনিয়ম নিয়ে ওই এলাকায় পক্ষে বিপক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সকল সদস্যকে অবহিত করার কথা থাকলেও দাতা সদস্যদের অনেককেই তা অবহিত করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। একটি সূত্র জানায়, একটি প্রভাবশালী মহল একতরফাভাবে নির্বাচন করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পাঁয়তারা করছে।বিদ্যালয়টির দাতা সদস্য মো. আনিছ প্রশ্ন তুলেন, আমি ভোটার কিন্তু নির্বাচন কবে তা জানানো হয়নি। এখন শুনি ১১ জুন মনোনয়ন ফরম দেওয়ার শেষ দিন গেছে। মূলত কৌশলে
আমাদেরকে জানানো হয়নি। এমতাবস্থায় নির্বাচন হলে তা হবে প্রশ্ন বিদ্ধ। এ কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট নির্বাচন বন্ধের আবেদন করেছি।
কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুলতান বেপারী বলেন, তিনি বিদ্যালয়ের অভিবাবক প্রতিনিধি পদে মনোনয়নপত্র কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম আহমেদ ভূইয়া ও কুকুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা তাকে মনোনয়নপত্র কিনতে নিষেধ করেন। এ কারণে তিনি মনোনয়নপত্র কিনতে পারেননি। সুলতান মেম্বার তাকে বাধা দেওয়া হয়েছে বিষয়টি উল্লেখ করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি আশঙ্কা করে নির্বাচন স্থগিতের আবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কান্তা পালের কার্যালয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য কুকুটিয়া এলাকার ৭ জন উপস্থিত হন। প্রিজাইডিং অফিসার তাদেরকে মনোনয়ন দিতে পারবেন না বলে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ সময় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে আসা সদস্যরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, পেশী শক্তি ও কৌশল খাটিয়ে একতরফা নির্বাচন হলে তা হবে প্রশ্ন বিদ্ধ। শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোশারেফ হোসাইন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে
বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।