ভারতে ধর্ষণ বিরাধী আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে জাবিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি

Messenger_creation_863583759069427.jpeg

রিপোর্টার,মোঃ মাজেদুল ইসলাম:-

কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার এক নারী চিকিৎসকের বিচারের দাবিতে ভারতজুড়ে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) গণসংহতি ও মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭ টায় শহীদ মিনারের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার ব্যানারে এই প্রতিবাদী কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আহসান লাবিবের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

কর্মসূচিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা রিমু বলেন, নারী চিকিৎসক মৌমিতা দেবনাথকে গণধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে, তাদের সাথে সংহতি জানিয়ে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। মেয়েরা ঘরে-বাইরে, গণপরিবহনে, কর্মক্ষেত্রে কোথায় নিরাপদ না। এই হত্যায় অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক, সর্বোচ্চ শাস্তির দেয়া হোক। তা না হলে তারা এধরণের ঘটনা আবার ঘটানোর দুঃসাহস দেখাবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাজমুল ইসলাম বলেন, একজন চিকিৎসক যদি হাসপাতালে নিরাপদ না থাকে তাহলে সে কোথায় নিরাপদ থাকবে? যারা ডাক্তার মৌমিতা দেবনাথ যে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদেরকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে৷ আমরা চাই না আর কোনো মৌমিতা এভাবে ঝড়ে পরে যাক। আমাদেরকে অনলাইন, অফলাই সব জায়গাতেই সোচ্চার হতে হবে যেন আর কেউ এরকম ন্যাক্কারজনক কাজ করার দুঃসাহস না পায়।

এসময় ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, আমাদের আজকের এ কর্মসূচীর উদ্দেশ্য সবার কাছে এ বার্তা পৌছানো যে আমরা যে নতুন সমাজের স্বপ্ন দেখছি তা হবে অন্যায়-অবিচার মুক্ত। কলকাতায় যে ধর্ষন ও হত্যাকান্ড ঘটেছে তা খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। অসৎ ও দুষ্কৃতকারী মানুষেরা ক্ষমতায় থাকার কারনে বারবার এধরনের অপরাধীরা শাস্তি থেকে বেঁচে যায়। আমরা সবার কাছে এ বার্তা পৌছাতে চাই যে আমাদের নতুন সমাজে এ ধরনের অন্যায় অনাচার ঘটলে আমরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে এভাবে তার প্রতিবাদ ও শাস্তি নিশ্চিত করবো।

সমাপনী বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, আমরা হাসপাতালে যাই জীবন বাঁচানোর জন্য, সেবা পাওয়ার জন্য, সেই হাসপাতালেই আমাদের এক চিকিৎসক বোনকে কিভাবে তারা ধর্ষণ করে হত্যা করে। আমরা এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা কিছুদিন আগে যখন আন্দোলনে ছিলাম, তখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আমাদের সমর্থনে রাজপথে নেমে এসেছিলো। এই ধর্ষনের ও হত্যার ঘটনায় যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া না হয়, তাহলে আমরা সারা বাংলাদেশে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top