মোহাম্মদ মিনার উদ্দিন আলী,চকরিয়া,পেকুয়া প্রতিনিধি:-
চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হিমছড়ি মৌলভীপাড়া ধান রোপনকৃত ফসলি জমি নষ্ট করে জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছ কক্সবাজার, কুতুবদিয়া নিয়োজিত আনসার প্রশিক্ষক মোছলেহ উদ্দীন এর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ওসমান গণি জানান, গত ১৪-০৯-২৪ ইং বিকাল আনুমানিক ০৫.০০ ঘটিকার সময় অবৈদ অস্ত্রশস্ত্র সহ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার রোপিত ধান্য জমিতে প্রবেশ করেন।
বিবাদীগন ২০ শতক জমির রোপিত ধানের চারা হাতে তুলিয়া ও পায়ে মাড়াই করে দেন এবং জমির সীমানা ও ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করেন আনুমানিক ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয় এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী ওসমান গনি জানান গত ০২-০৮-২০২০ ইং তে আমি বরইতলীর একতা বাজারের জাকির আহমদের কাছ থেকে তার ৩০-৪০ বছরের ভোগ দখলীয় ২০ শতক রিজার্ভ নাল জমি ক্রয় করি এবং চাষাবাদ অবস্থায় আছি , অভিযুক্ত মোছলেহ উদ্দিন ও উক্ত ব্যাক্তি জাকির আহামদ এর কাছ থেকে ৩৫ শতক জমি ক্রয় করেন ২০২২ সালে। মোছলেহ উদ্দিনের ক্রয়কৃত জমির পার্শবর্তী লাগুয়া হওয়ায় আমার ২০ শতক জমি বারবার আবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে তথ্য পাই যে আনসার সদস্য মোছলেহ উদ্দিনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় ও বিগত আওয়ামলীগ সরকার ক্ষমতা থাকা অবস্থায় আনসার সদস্য পদে থাকার সুযোগের অপব্যাবহার করে প্রভাব বিস্তার করত।
স্থানীয় বরইতলীর ৩নং ওয়ার্ডের এম ইউ পি সদস্য শহিদুল মেম্বার জানান অসংখ্যবার মোছলেহ উদ্দিনকে স্থানীয় বৈঠকে বসার জন্য বললে ও সে বিষয়টা বারবার এড়িয়ে যায় এবং বলেন জমি কিভাবে দখলে নিতে হয় আমি ভালো করে জানি।
অভিযুক্ত মোছলেহ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করে এই বিষয়ে জানতে চাইলে সে গ্রহনযোগ্য কোন প্রমান দিতে পারেনি দখল করতে যাওয়া উক্ত জমির।
এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা আনসার ভিডিপির উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হয় আপনার অধিনস্থ কোন কর্মকর্তা যদি উল্লেক্ষিত কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় তার বিরোদ্ধে আপানদের ডিপার্টমেন্টাল শাস্তির কি ব্যাবস্থা রয়েছে।ওনি জানান যতাযত প্রমান থাকলে অভিযুক্ত আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল শাস্তির ব্যাবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন।