জুয়া ও প্রেমের কারণেই হিমুর আত্মহত্যা, বলছে র‌্যাব

received_1029944714821579.jpeg

বিনোদন ডেক্স:
অভিনেত্রী হোমায়রা হিমু জুয়ায় আসক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় অভিনেত্রী হুমায়রা নুসরাত হিমুর আত্মহত্যার ঘটনায় তার ‘প্রেমিক’ মো: জিয়াউদ্দিনকে গ্রেফতার করার পর সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানায়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় করা ওই সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, হিমু অনলাইন জুয়া খেলায় আসক্ত ছিলেন। তার জুয়া খেলার জন্য উরফি জিয়া গত চার মাসে অনেক টাকা দিয়েছে । সেই টাকা ও বিয়ে করা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হিমু আত্মহত্যা করে।

হিমু এর আগেও ৩/৪ বার উরফিকে জানিয়ে ছিলেন তিনি আত্মহত্যা করবেন। তবে করেননি। ঘটনার বিবরণ দিয়ে র‌্যাব জানায়, ঘটনার দিন জুয়া খেলা ও বিবাহ করার বিষয়টি নিয়ে মনোমালিন্য হয়। তখন হিমু জিয়াকে হুমকি দেয় তার কথা মেনে না নিলে সে আত্মহত্যা করবে। তার প্রমাণ আছে। পরে ছবি পাঠালে জিয়া হিমুর বাসায় যায়। তখন তাদের মাঝে আবার ঝগড়া হয়। তখন হিমু আত্মহত্যার হুমকি দিলেও জিয়া ততটা গুরুত্ব দেয়নি। হিমু বাসায় অনেক ভাংচুরও করে। পরে পাশের রুমে থাকা মই নিয়ে সে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। জিয়া বিষয়টিকে হুমকি মনে করলেও পরে সে ফ্যানে ঝুলে পড়ে। তখন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

উরফি জিয়া বিবাহিত। নিজের খালাতো বোনকে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়েও করেন। তার সন্তানও আছে। হিমুর সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর জিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রীর মনোমালিন্য চলত। কিন্তু হিমুর সঙ্গে বন্ধুত্ব ঠিকঠাক থাকে। চারমাস আগে সম্পর্ক আরও গভীর হয়। তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর থেকেই বাসায় নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো। মেকআপম্যান মিহির হিমুর বাসাতেই থাকতো। বিভিন্ন সময়ে নানা বিষয়ে জিয়া ও হিমুর মনোমালিন্য হতো। যোগাযোগও বন্ধ থাকতো।

র‌্যাবের বর্ণনায় জানা যায়, উরফি জিয়ার সঙ্গে ২০১২ সালে হিমুর পরিচয় হয়। উরফি জিয়ার আগে হিমুর সঙ্গে তৌফিক নামে আরও একজনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। ২০১৮ সালে সে আত্মহত্যা করে। তখন হিমু একাকিত্ব বোধ করে। এরপরই জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top