বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বিরামপুরে সাবেক পৌর মেয়র আক্কাস আলীর দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে রবিবার দুপুরে পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিরামপুরের সর্বস্তরের ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সাবেক পৌর মেয়র আক্কাস আলীর আপন বড় ভাই ভুক্তভোগী মোজাম্মেল হক, ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম আরিফ ও ভুক্তভোগী অ্যাডভোকেট সোহেল রানার ছোট ভাই সৌরভ হোসেন লিখিত বক্তব্যে জানান, সাবেক মেয়র আক্কাস আলী আওয়ামীলীগের সমর্থনে জোরপূর্বক পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম-দুর্নীতি, জমি দখল, বিভিন্ন তদবির ও নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন।
পৌরসভার দায়িত্ব নিয়ে ভূয়া প্রকল্প সম্পন্ন দেখিয়ে ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) আওতায় প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট করেছেন। এছাড়াও হোল্ডিং নম্বর প্রদান, হাট-বাজার ইজারা, পশু হাটে নিজস্ব মাস্তান বাহিনী দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, আওয়ামীলীগের লোকজনকে মাস্টার রোলে পৌরসভায় চাকরি প্রদান করে কাগজে-কলমে লোকবল বেশি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, সোলার প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, পৌরসভার মালিকানাধীন দোকানঘর ও চাম্বিনা (মাছ ও সবজি বিক্রেতাদের বসার জায়গা) থেকে জামানতের টাকা তুলে পকেটস্থ করা সহ জন্মনিবন্ধনের থেকে পাওয়া বিশাল অর্থের একটি অংশ সরকারি কোষাগারে জমা না করে এখনো বাকী রেখেছেন। সাবেক মেয়র আক্কাস আলী তার পছন্দের ঠিকাদার আপন ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক ও এরশাদুর রহমানকে দিয়ে পৌরসভার কাজ করিয়ে কমিশন বাণিজ্য করেছেন। অথচ পৌরসভার ভিতরের সড়ক গুলোর বেহাল অবস্থা, পানি নিষ্কাষণ ও উন্নত ড্রেনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সাবেক মেয়র তার আপন দুই ভাইকে বঞ্চিত করে তিন ভাইয়ের মালিকানাধীন শারমিন ফিলিং স্টেশন নামক পেট্রোল পাম্পটি এককভাবে অবৈধ দখল করে রেখেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আয় করে সাবেক মেয়র তার স্ত্রী নারগিস পারভীনের নামে ঢাকার মোহাম্মদপুরে জায়গা কিনে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সোহেল রানার নাম ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিরামপুর পশু হাট ইজারা নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা নিয়ে তা আর ফেরত দিচ্ছেন না বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা সাবেক পৌর মেয়র আক্কাস আলীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি সাবেক পৌর মেয়রের ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।