রিপোর্টার,মোঃ আব্দুল হামিদ:-
কুষ্টিয়ায় লালনের আখড়াবাড়ি ১৩৪ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে উৎসব মেলায় দ্বিতীয় দিনে মানুষের ঢল নেমেছে। আয়োজক কমিটি এই প্রথম সাধু সন্ন্যাসীদের জন্য ইলিশ মাছ ও দই দিয়ে পুণ্য ভোজের ব্যবস্থা করেন। বিদায়ের শেষ বেলায় অনেক সাধু -ফকির কান্না করেছেন। অনেককে চোখ মুছতে দেখা গেছে।আগত সাধু সন্ন্যাসীরা তারা যার যার এলাকায় গিয়ে লালনের মানবতার দর্শন প্রচার করবেন। প্রবীণ এক সাধু কুদ্দুস বলেন ২০০ বছর আগে পূর্ণিমার তিথিতে লালন ফকির সাধু সঙ্গ করতেন। গানে গানে মানবতার চেতনা সরিয়ে দিতেন। ১৩৪ তম তিরোধান দিবস এ ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর শুরু হয় সাধু সঙ্গ। রাতে হয় অধিবাস।
১৮অক্টোবর সকালে বাল্যসেবা এবং বিকেল তিনটায় পূর্ণ সেবার মধ্য শেষ হয়েছে। যেহেতু লালনের তিরোধান দিবস ঘিরে এবারের সঙ্গ এ কারণে দৈন্য প্রকাশের গানই শোনা গেছে চারদিকে। আখড়া বাড়ির বাইরের মঞ্চেও আলোচনা ও গানে প্রকাশ পেয়েছে লালনের তিরোধান বিষয়টি। আয়োজক কমিটির সদস্য মো: সাজেদুর রহমান বিপুল বলেন এই প্রথম ৩৪ তম তিরোধান দিবসে ১৪হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।আখড়া বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করা হয়েছে লালন মেলা কে ঘিরে চারিদিকে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে পুলিশ বিজিবি -র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।