স্টাফ রিপোর্টার:-
হবিগঞ্জের মাধবপুরে গৃহবধূ শেফালী আক্তারের(২০) হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের খবর পাওয়া গেছে।নিহত শেফালির স্বামী সালাউদ্দিনের দাবী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
অন্যদিকে নিহত শেফালির পিতা নাসির উদ্দিনের দাবী,পরিকল্পিতভাবে তার স্বামী ও শশুর-শাশুড়ি মিলে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে আত্মহত্যা নাটক সাজিয়েছেন।এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে (৬ নভেম্বর) মাধবপুর থানায় পিতা ও স্বামী ভিন্ন ভিন্ন আসামী উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোন অভিযোগেরই এফআইআর হয়নি।
জানা যায়,গত সোমবার (৪ নভেম্বর)রাতে উপজেলা আদাউর ইউপির ইউপি সম্পদপুর গ্রামে শেফালী নিহতের ঘটনা ঘটলে লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ।হালচুরতের ভিত্তিতে তখন পর্যন্ত দায়ের হয়নি কোন মামলাও ।হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়েও এলাকায় চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা।
এদিকে নিহত শেফালির পিতা নাসির উদ্দিন বলছেন,স্থানীয় সর্দারদের ম্যানেজ করে শেফালির খুনী সালাউদ্দিন গং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।খুনিরা নিজেরাই বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
যোগাযোগ করা হলে নিহতের স্বামী সালাউদ্দিন বলেন, এটি আমাদের পারিবারিক বিষয়। শেফালী আত্মহত্যা করেছে। এখানে তার বাবার কোন স্থান নেই।তার দ্বিতীয় সংসার রয়েছে।এখানে আমরাই এটির সমাধান করব।
স্থানীয় বাসিন্দা নাসিমা আক্তার জানান,আমি লাশের গোসল করানোর সময় দুই হাতে ও পিঠে জখমের চিহ্ন পেয়েছি। নেশাখুর স্বামী সালাউদ্দিন প্রায়ই মেয়েটাকে মাইরধর করত জানতাম ।এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
নিহতের পিতা আবু নাসের জানান, আমি হতদরিদ্র মানুষ। আইন-কানোন ভালমতো বুঝি না।আমার দায়ের করা অভিযোগটি যাতে এফআইআর হয়ে আসামি সনাক্ত হয় ও বিচারের মুখোমুখি করা হয় এই আমার দাবি।অন্যতায় আমি থানার সামনে অনশনে বসবো।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নিহতের পিতা আবু নাসের আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে এসেছে।ভিন্ন পক্ষ থেকেও একটি অভিযোগ দায়ের করা রয়েছে। এসব আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।