শ্রীনগর মোঃ( শিপু) প্রতিনিধি:
শ্রীনগরে নিখোঁজের ৩দিন পর খাল থেকে সিংগাপুর প্রবাসী রমজান মুন্সী (৩৮) নামে এক যুবকের হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের সামান্য উত্তরদিকে শিমুল তলার শ্রীনগর-লস্করপুর খাল থেকে লাশটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,
শ্রীনগর উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের গাদিঘাট গ্রামের মাঝের হাটির রমজান মুন্সী গত ২৫ নভেম্বর নিখোঁজ হয়। সে ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলাম
খোকা মুন্সীর পুত্র। রমজান মুন্সী ওই দিন আবু কালাম নামে এক সঙ্গীকে সাথে নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে নিতে শ্রীনগর সদরের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। শ্রীনগর সদর এলাকার ধাইসার এলাকায় এসে আবু কালামকে বাজারের দিকে পাঠিয়ে তিনি প্রায় ৩০০ গজ দূরে দেউলভোগ এলাকায় বহুতল বিল্ডিং করার জন্য প্রস্তুত তার মালিকানাধীন প্লটের প্রতিবেশী মুক্তার মাঝির বাড়িতে যাওয়ার কথা
বলে রওনা দেন। এর পর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। এই ঘটনায় ২৫ নভেম্বর রমজান মুন্সীর স্ত্রী নাজমা আক্তার বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় সাধারণ ডায়রী করেন দায়ের করেন। রমজান মুন্সীর স্বজনরা জানান, অনেকদিন ধরে রমজান সিংগাপুর
প্রবাসী। প্রায় দেড়মাস আগে সে দেশে এসে দেউলভোগ ব্রিজের পাশে তার ক্রয়কৃত জায়গায় বহুতল ভবণ নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করেন। এ সময় তার প্লটের পাশের মালিক মুক্তার মাঝির ছেলে ইভান জায়গা দাবী করে লোকজন নিয়ে কয়েকবার
বাঁধা দেন। বিষয়টি স্থানীয়রা নাদাবী দলিল করার শর্তে দশ লাখ টাকায় মিমাংসা করে দেয়। ততোদিনে রমজানের সিংগাপুর যাওয়ার সময় হয়ে যায়। তিনি ইট-পাথরসহ জায়গাটি বেড়া দিয়ে ভবণ নির্মাণে ইস্তফা দেন। ২৫ নভেম্বর ইভানের জায়গা রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা ছিল। জায়গা রেজিস্ট্রি করে নিতে এসেই রমজান নিখোঁজ হয়। এর ৩ দিন পর ২৭ নভেম্বর বুধবার বেলা ১১ টার দিকে রমজান মুন্সীর লাশটি খালে ভেসে উঠে। ওইদিন সকালে তার সিংগাপুর যাওয়ার ফ্লাইটের টিকেট করা ছিল। রমজান মুন্সীর ১২ ও সাড়ে ৩ বছরের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। নিখোঁজের পর থেকে একটি চক্র ৩ দফায় রমজানের পরিবার থেকে মুক্তিপন বাবদ
প্রায় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বজনদের অভিযোগ। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কাইয়ূম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, লাশটি উদ্ধার করে
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিখোঁজ জিডির পর থেকেই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।