টঙ্গীবাড়ী প্রতিনিধি-
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হালদার এর অপসারণ চেয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন ওই ই্উনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ সদস্য। গতকাল বৃহস্পতিবার ( ১২ ডিসেম্বর) ওই ইউনিয়নের ১০ জন সদস্য স্বাক্ষরিত রেজুলেশন সহ জেলা প্রশাসক বরাবরে এই অপসারনের আবেদন করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে।
জেলা প্রশাসক বরাবর দায়ের করা আবেদনের অনুলিপিতে দেখা যায় ওই পরিষদের মোট ১২ জন সদস্যর মধ্যে ১০ জন সদস্য ওই অপসারণের আবেদন পত্রের রেজুলেশনে সাক্ষর করেছেন। আবেদন পত্রে উল্লেখ করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান তার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করায় ইউনিয়ন এলাকার জনসাধরণ সেবা গ্রহনে হয়রাণীর শিকার হচ্ছে এবং তার কারনে বর্তমান পরিষদ সরকারী আইন মোতাবেক পরিচালিত হচ্ছেনা।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশণ অনুযায়ী অনস্থা প্রদান করে ওই ইউনিয়নের ১০ ইউপি সদস্য। অনস্থা পত্রে উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যান বিদেশ থাকায় ওই ইউনিয়নের জনসাধরণ প্রাপ্ত সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং চেয়ারম্যান এর আগেও আইন মোতাবেক ৩ সদস্য বিশিষ্ট চেয়ারম্যানের প্যানাল গঠন করার বিধান থাকলে সময় মতো তিনি চেয়ারম্যান প্যানেল গঠন করেন নাই।
এ ব্যাপারে আড়িয়ল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ এখলাছ বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হালদার বিদেশ থাকেন। তাকে আমরা পাইনা। তিনি ৭ মাস আগে বিদেশ গেছেন। শুনেছি দু-দিন আগে তিনি দেশে এসেছেন। বিদেশ হতে এমনকি দেশে এসেও তিনি আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেন নাই। ইউনিয়ন পরিষদেও আসেন নাই। তার কারনে এই ইউনিয়নের লোকজন কোন সেবা পাচ্ছেনা । তাই আমরা তাকে অনস্থা দিয়েছি। অপসারন চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে দরখাস্ত করেছি।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান দুলাল হালদার বলেন, আমি শুনেছি কতিপয় ইউপি সদস্য কাগজপত্র নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়াঝাপ করছেন। আমিতো কোন কিছুরই নোটিশ পাই নাই। আইন অনুযায়ী যেটা হবার সেটা হবে।
এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমিও বিষয়টি শুনেছি আড়িয়ল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অপসারন চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে দরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমার কাছে এখনো দরখাস্তের কোন অনুলিপি আসে নাই।