মুন্সীগঞ্জে  সিরাজদিখান জোর করে জমি দখলের অভিযোগ স্কুলের সভাপতি মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে ।

IMG_20220512_115440-1.jpg
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
জোর করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্কুলের সভাপতি মোস্তফা কামাল ও প্রধান শিক্ষক আলী আশরাফের বিরুদ্ধে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসমহল বালুচর গ্রামের আঃ মজিদের ছেলে মোঃ আমজাদ হোসেন, দিদার হোসেন ও ঐ পরিবারের সদস্যদের জমি জোর করে দখল করেছে খাসমহল বালুচর উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের সভাপতি মোস্তফা কামাল  ও প্রধান শিক্ষক আলী আশরাফ।
ওই জমি ফেরত পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ভুক্তভোগী পরিবার। গত( ১০ মে) মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে যান মুন্সীগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকরা বিদ্যালয় সংলগ্ন চায়ের স্টলে থাকাও ঐ এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললে তারা জানান এ পরিবারের বাব দাদার পৈত্রিক ওয়ারিশ হিসেবে তারা মালিক হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
 এ বিষয়ে জমির মালিক মৃত আঃ মজিদের বড় ছেলে আমজাদ হোসেন বলেন আমরা এই জায়গায় মালিক হয়েছি ওয়ারিশ সুত্রে যাহার দাগ / খতিয়ান পেডি খতিয়ান ২৫.দাগ নং ৩৪৫ এস,এ খতিয়ান হালে ৭২০ সাবেক ৭২৯ দাগ নং ৯৮৫, আর এস খতিয়ান ২৪২, ৭৮৮ নং দাগে আমাদের ২৪ শতাংশ জায়গা রয়েছে। আমাদের দাদার থেকে শুরু করে আমি পর্যন্ত চাষাবাদ করেছি এই জমি।
তিনি  আরো জানান ,মোস্তফা কামাল প্রথমবার বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার পরেই আমাদের জায়গা জোর করে দখল করেছে এবং ওই জায়গায় প্রাচীর নির্মান করে। আমরা অনেকটাই অসহায় তখনকার ইউপি চেয়ারম্যান আবুবকর সিদ্দিক সাহেবের বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। চেয়ারম্যান সাহেব বিষয়টি নিয়ে কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলোচনা করে আমাদের কে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে লিখে নিবেন বলে আমাদেরকে জানান। জমি মুল্য প্রায় কোটি টাকা হওয়ায় আমরা রাজি হইনি। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণে আমাদের জমি জোর করে দখল করেছে রেখেছেন সভাপতি মোস্তফা কামাল।
কিন্তু তারপরও আমরা বিভিন্ন সময় সভাপতি ও কমিটির সদস্যদের সা‌থে যোগাযোগ করেছি তারা আমাদের কোনো পাত্তাই দেয়নি বরং সভাপতি মোস্তফা কামাল ও তার লোকজন আমাদেরকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
 মৃত আঃ মজিদের আরেক ছেলে দিদার হোসেন বলেন ,সভাপতি মোস্তফা কামাল অনেক টাকার মালিক হওয়ায় আমরা তার সাথে পেড়ে উঠতে পারছি না, তার কারণে সে স্বর্ণের ব্যবসা করে অনেক টাকার মালিক হয়েছে। সে টাকা দিয়ে পুলিশ, প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে রাখে। ভূমিদস্যু, জুলুমবাজ মোস্তফা কামালের হাত থেকে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য যা করা দরকার আমরা তাই করবো।
শিক্ষক স্বীকার করেন যে তার জায়গার বাহিরেও আছে স্কুলের দখলেও আছে।
সাবেক চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দিক জানান, আমি এখন চেয়ারম্যান নাই।
 নতুন চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন। তাকে এ বিষয় জানান। এ বিষয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জানান, বারবার সেলফোন কেটে দেন এবং বলেন নেটওয়ার্ক খারাপ তাই কেটে যাচ্ছে।পরিবতী‌তে
তাকে প্রধান শিক্ষকের ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশনের সিদ্ধান্তের কথা জানালে
তিনি জানান, সেটা প্রধান শিক্ষক ভালো বলতে পারবেন আমার জানা নেই। দীর্ঘ বছর ধরে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদ আটকিয়ে রেখেছেন এই মোস্তফা কামাল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অন্যের জায়গা দখল করে রাখলেও সিরাজদিখান সহকারি কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার বলেন আমারা সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top