স্টাফ রিপোর্টার: ভারতের কর্নাটক রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিছুদিন আগে মেয়েদের হিজাব পরা নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও সরকারি কলেজে। কিছু দিন ধরেই চলছে বোরকা পরে কলেজে আসায় শিক্ষকদের বাঁধা দেয়ার ঘটনা। তবে, বুধবার (৮ জুন) কিছু ছাত্রী এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করায় বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের দৃষ্টিতে আসে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরেই সোনারগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষকরা হিজাব বা বোরকা পরে আসা ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে হিজাব বা বোরকা না পরে কলেজে আসার জন্য বলছে। এমন কি হিজাব পরে কলেজে আসার প্রতিবাদ করায় একাধিক ছাত্রীকে সম্প্রতি শেষ হওয়া ডিগ্রী শ্রেণীর অনটেষ্ট পরীক্ষায় অংশ নিতেও দেয়নি হিজাব বা বোরকা বিরোধী শিক্ষকেরা।
আজ ( ৮ জুন) বাদ , জোহর কলেজ গেইটের পাশে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইন্টারমিডিয়েট ও ডিগ্রী প্রথম বর্ষের একাধিক ছাত্রী গণমাধ্যম’কে জানায়, বেশ কিছুদিন আগে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কর্নাটক রাজ্যের কুন্ডাপুর সরকারি পিইউ কলেজে ছাত্রীদের বোরকা পরার বিষয় নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছিল এখন মুসলিম প্রধান দেশ হয়েও আমাদের দেশেই আমরা আজ সেই সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছি। ক্লাশ কক্ষে গিয়ে বোরকা পরিহিত ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে রীতিমত শিক্ষকরা বোরকা না পরে কলেজে আসার জন্য ভয়-ভীতি দিচ্ছে। তাদের কথা না শুনলে বা প্রতিবাদ করলে পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে দিচ্ছে না। বোরকা উপরে উঠিয়ে নিচে কলেজ পোশাক দেখানোর পরও সকল শিক্ষার্থীরা এ সমস্যার সমউখিন হচ্ছে। আমরা বাড়ি থেকে বোরকা না পরে কলেজে আসলে পরিবারের লোকজন বকাঝকা করে। এদিকে, কলেজে বোরকা পরে আসলে কলেজের শিক্ষকরা গালিগালাজের পাশাপাশি বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায়, যা নিয়ে আমরা রীতিমদ একপ্রকার মানসিক নির্যাতনের মধ্যে আছি। আমরা আর পারছিনা। তাই মিডিয়াকর্মীদেরকে এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসার জোর দাবি করেন ওই শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে মোবাইলে সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপুকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।