শাহিন আহমেদ :
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ২৬ জানুয়ারি ২০১১ইং তারিখে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল কাদের (২৭)কে তার হেফাজতে থাকা ৪.৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ কোতয়ালী থানা, সিএমপি চট্টগ্রাম কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানার মামলা নং-৫০ তারিখ-২৬/০১/২০১১ খ্রিঃ ধারা-১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯ (১) এর ৭ (খ)ধারায় মামলা রুজু হয়। বিজ্ঞ বিচারক সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য প্রমানিত হওয়ায় তাকে ০১(এক)বছর সশ্রম কারাদন্ড,৩০০০/- টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ০১(এক) মাস সশ্রম করাদন্ডে দন্ডিত করেন। উক্ত আসামী বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি পেয়ে আতœগোপন করে দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করতে থাকে।
সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত এই আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে উক্ত আসামী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সদর থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১১ জুন ২০২২ইং তারিখ রাত ০৮৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ আব্দুল কাদের (২৭), পিতা-মৃত হাবিবুর রহমান, সাং-মধ্য বোয়ালখালী, থানা- দিঘীনালা, জেলা- খাগড়াছড়িকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসবাদে সে বর্ণিত মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী মর্মে স্বীকার করে।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আব্দুল কাদের এর বাড়ী খাগড়াছড়ি থানা পাহাড়ী এলাকায় কিন্তু ঘটনার পর থেকে সে তার এলাকায় যাওয়া আসা না করে বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ আতœগোপন করে ছিল। এক পর্যায়ে সে স্থানীয় একটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সদর থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় অবস্থান করছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।