চট্টগ্রামে অট্রো টেম্পু চালক মালিক ঐক্য পরিষদের নামে ব্যাপক চাঁদাবাজি।

received_1014105679753221.jpeg

আঃছালাম হাওলাদার:
সড়কে বিশৃঙ্খলার পেছনে পরিবচহন খাতে চাঁদাবাজি বড় কারণ। কিন্তু এ খাতে কীভাবে চাঁদাবাজি হয় এবং তা বন্ধের বিষয় করনী কি? তা হয়তো উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জানার পরেও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। চট্টগ্রাম নগরীতে অনিবন্ধিত সংগঠন চট্টগ্রাম অটোটেম্পু চালক মালিক ঐক্য পরিষদ এর নামে প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজি এমন অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী চালকরা।

বারিক বিল্ডিং হইতে অক্সিজেন পর্যন্ত ১ নং রোড অটোটেম্পুর চলাচলের পারমিট। কিন্তু যাত্রী না পাওয়ার কারনে অটোটেম্পু চলছে চকবাজার পর্যন্ত। নিবন্ধিত অটোটেম্পুর সংখ্যা ২শত এর উপরে কিন্তু চলাচল করছে ১২০ টি অটোটেম্পু।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অটোটেম্পু চালক বলেন,প্রতিদিন এই রোডে ৬ স্থান থেকে ৬ জনকে চাঁদা দিতে হয় ৮০ টাকা। চাঁদা না দিলে ৬ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মামলা করে দেয় ট্রাফিক পুলিশকে বলে।

জানতে চাই তারা কারা? বারিক বিল্ডিংয়ে জয়নাল কোং আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে এনাম,দেওয়ানহাট মোড়ে শহিদ,লালখান বাজার মোড়ে দিলীপ সরকার, কাজির দেউরী মোড়ে ফরিদ,চকবাজার মোড়ে ইকবাল প্রকাশ্যে টাকা তোলে দুপুর ২ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত।

এরা কিন্তু কেউ অটো টেম্পোর মালিক নয়। তাহলে চালক মালিক ঐক্য পরিষদের নামে তারা কিভাবে টাকা তোলে বলে অভিযোগ এই চালকের।

বারিক বিল্ডিং মোড়ে অটোটেম্পু স্টার্ন্ডে গেলে ১০-১২ জন চালক অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত সংগঠনের নামে তারা চাঁদা তুলছে কিন্তু আমাদের কোন সুযোগ সুবিধা অসুবিধা তারা দেখে না। তারা বলছে এ গুলো লাইন খরচ, যদি লাইন খরচ হয়ে থাকে তবে ট্রাফিক পুলিশ কেন আমাদের মামলা দেয় গাড়ী টো করে?
আর এক অটোটেম্পু চালক বলেন, তারা নাকি ট্রাফিক পুলিশকে মাসোহারা দেয় আমাদের কাছ থেকে টাকা তুলে কিন্তু এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা কারন প্রতিমাসে প্রতি গাড়ী থেকে মালিকের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিচ্ছে আবার আমাদের কাছ থেকে প্রতি দিন ৮০ টাকা করে নিচ্ছে আবার মামলা ও খাচ্ছি এর সমাধান কি?

এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় চট্টগ্রাম অটোটেম্পু চালক মালিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক জয়নাল কোং এর সাথে তিনি বলেন, ঘটনা সত্য টাকা তোলা হয় কিন্তু এই টাকা তো চালকদের কল্যানের জন্য। ট্রাফিক পুলিশ দ্বারা মামলা ও হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হুম এমনটা হয় মাঝে মাঝে

চট্টগ্রাম অটোটেম্পু চালক মালিক ঐক্য পরিষদ এর আহবায়ক মোঃ মনির হোসেন মুঠোফোনে বলেন,টাকা তোলা হয় তবে তা চাঁদা নয়, চালকদের কল্যানে ব্যয় করার জন্য। চালকরা তো বলছে আপনারা মাসে প্রায় ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা চাঁদা তোলেন কিন্তু চালকদের বিপদে কখনো এক টাকারও সহযোগিতা করেননি? মনির হোসেন বলেন, আমরা সহযোগিতা করি।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কমিটির বাকি সদস্যদের ফোন করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top