বাউফলে ঝড়ে বিধস্ত মাদ্রাসা ভবন, পাঠদান করা হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে

received_991955398148281.webp

মো:ফিরোজ,বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলের কালিশুরী ইউনিয়নের সিংহেরাকাঠি কুরআন সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা ঘরটি ঝড়ে বিধস্ত হওয়ার পর ছাত্র/ছাত্রীদের পাঠদান করা হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। গত ১৯ জুন ঝড়ে মাদ্রাসার টিনসেট ঘরটি বিধস্ত হয়েছে। এর ফলে বিকল্প কোনো সুযোগ না থাকায় ওই মাদ্রাসার অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
১৯৮০ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৮৬ সালে এমপিও ভূক্ত হয়। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম (দাখিল) শ্রেণী পর্যন্ত মোট ৪শ ৭৫জন ছাত্র/ছাত্রী রয়েছে।ওই মাদ্রাসার সুপার মোঃ আবু ইউসুফ বলেন, মাদ্রাসাটিতে দুটি টিনসেট ঘর ছিল। এর মধ্যে ১শ ৫০ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট চওড়া উত্তর পাশের ঘরটিতে পাঠদান এবং পশ্চিম পাশের ভবনটি প্রশাসনিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এর মধ্যে যে ভবনটিতে পাঠদান হতো সেই ভবনটি ১৯ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে হঠাৎ ঝড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। এ কারণে পরের দিন থেকে আর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি আমি মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
ওই মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মানসুরা আক্তার বলে, করোনার কারণে গত দুই বছর পড়াশুনা করতে পারিনি। পড়াশুনা শুরুর পর অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা দিতে ছিলাম, তাও আবার ঝড়েরর কারণে বন্ধ হয়ে গেল।’ মানসুরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবন নির্মাণ করে পাঠদানের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
ওমর ফারুক নামে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষক বলেন,‘ভাগ্য ভালো যে, শিক্ষার্থীরা বাড়ি পৌছানোর পর ঝড় শুরু হয়েছে। আর তা না হলে যেভাবে মাদ্রাসা ভবনটি দুমড়েমুচড়ে পড়েছে তাতে হতাহতের ঘটনা ঘটতো।
আনিচুর রহমান নামের ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,‘অনেক বছরের পুরানো একটি মাদ্রাসা, পড়াশুনা ও ফলাফলেও ভালো। এ কারণে আমার মেয়েকে এই মাদ্রাসায় ভর্তি করেছি। অথচ মাদ্রাসাটিতে কোনো পাকা ভবন নাই।’ তিনি টিনশেড ভবন নয়,পাকা ভবন নির্মাণের দাবি জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল-আমিন বলেন,‘সুপার সাহেব তাঁকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। যত তারাতারি সম্ভব ছাত্র ছাত্রী যাতে পাঠদানে ফিরতে পারে খুব শীগ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top