মো:ফিরোজ,বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণের মাটি দিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বাড়ির আঙ্গিনা ভরাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার মধ্য মদনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
ওই সভাপতির নাম মো. আসাদুজ্জামান ফরিদ। এছাড়াও তিনি মদনপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম -সাধারন সম্পাদক ও নওমালা আবদুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজের শরির চর্চা শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ৮৫লাখ টাকা ব্যয়ে মধ্য মদনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। কয়েক দিন আগে ভবন নির্মাণে বেইজ কেটে তোলা মাটি বিদ্যালয় মাঠে স্তুপ করে রাখা হয়। ওই মাটি বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান ফরিদ ক্ষমতার প্রভাব ঘাটিয়ে নিয়ে যান। যা দিয়ে তার বাড়ির আঙ্গিনা ভরাট করেন। সভাপতির এমন কাÐে এলাকায় চলছে সমালোচনার ঝড়। তবে সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টরা।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান, শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় মাঠে খেলাধুলা করতে পারছেন না। মাঠ ভরাট প্রয়োজন। ওই মাঠি দিয়ে মাঠ ভরাট করা হলে শিক্ষার্থীরা খেলা-ধুলা করার সুযোগ পেত।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছেন আসাদুজ্জামান ফরিদ শিক্ষকতা করলেও ঠিকাদারী ব্যবসার সাথে জড়িত। সরকারি বিধি লঙন করে নামে বেনামে ঠিকাদারী ব্যবসা পরিচালনা করছেন । ওই বিদ্যালয় ভবন নিমার্ণে মেসার্স হামিদ এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেলেও অলিখিত ঠিকাদার হিসেবে ভবন নির্মাণ করছেন সভাপদি ফরিদ।
প্রভাবশালী ফরিদের বিরুদ্ধে ভবন নির্মাণে নি¤œ মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, শিডিউল অনুযায়ী কাজ না করার অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, মূল ঠিকাদার নির্মাণ কাজ করলে নির্মাণ কাজ ভালো হত। এখন একই বরাদ্ধে দুই পক্ষের লাভ করতে হবে। যার কারনে নির্মাণ কাজ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
মাটি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, আমার জানা মতে তিনি (সভাপতি) মাটি নেননি।
অপরদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে আসাদুজ্জামান ফরিদ বলেন,‘ বিদ্যালয়ের মাটি নয়, আমি খাল থেকে মাটি কিছু মাটি নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনা ভরাট করেছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমিন বলেন,‘ খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।