ইয়াছিন চৌধুরী,রিপোর্টার:
উত্তর বাড্ডা গুদারাঘাট এলাকায় বাড়ী নং ১০ রাস্তা নং ১২ মোঃ আলী হোসেন এর বাড়িতে যৌতুক এর জন্য স্বামী ও তার পুরো পরিবার মিলে স্ত্রী মুনিয়া আহমেদ।
দুই ছেলে সন্তান জননীকে । যৌতুকের জন্য অমানুষিক নির্যাতন। মুনিয়ার পিতার নাম মোঃ মুরাদ আহমেদ। বাড়ি তুরাগ থানা রানাভোলা এলাকায়।
আসামি স্বামী জাহিদ (৩৫) বেকার।
আজকে ১ বছর আগে একটি কোম্পানি তে চাকরি করতো তার আপন বড় ভাই জাকির (৪০) হার্ডওয়্যারের দোকান চালায় তার মেঝো, ভাই সাইফুল (৩০) গুলশান এ একটি বাড়ীতে সিকিউরিটি গার্ডএর চাকরি করেন। বাবা আলী হোসেন। গত ৫ই নভেম্বর রাত ৭ ঘটিকায় তাকে রুমে আটকিয়ে গলায় ছুরি দিয়ে মুখে হকি স্টিক দিয়ে মেরে জখম করে,।
পরে ৯৯৯ এ ফোন দেয়ায় পুলিশ এসে ঘটনা দেখে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ছেলের পরিবার পারিবারিক ভাবে মীমাংসা করার আবেদন জানায়। কিন্তু এখনো মুনিয়ার ওপর নির্মম অত্যাচার ও মারধর চলছে। তাদের দাবি যৌতুকের ১০লক্ষ্য টাকা দিতে হবে। এর আগে ২০২০ সালে, মুনিয়ার বাবা জাহিদ কে ৫লক্ষ্য টাকা ব্যাবসার জন্য দেয়।
জাহিদ বলে পূরণ ঢাকা থেকে হার্ডওয়্যার মাল এনে ব্যাবসা করব, এই বলে টাকা নেয় এর আগে মেয়ের বাবা মেয়ের স্বামী কে একটি মোটরসাইকেল এপাচি লাল রং এর গাড়ি দেয় এবং ঘরে ফার্নিচার করে দেয়। মেয়ে এবং মেয়ের পরিবার এটার বিচার চায়। মারধর এর সময় ছেলে মিহির (১৩) সাক্ষী ও ছোট ছেলে মৃদুল (৯) সরেজমিন এ ছিলো এবং জবানবন্দি দিতে তারা প্রস্তুত। স্বামীর মা মুনিয়া আহমেদ কে বলেন তোর বাবার বাড়ি থেকে তোর অংশ নিয়ে আয় গত জুন এর ৮তারিখ মুনিয়া আহমেদ এর আপন বড় ভাই সাব্বির আহমেদ মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট এ মারা যায় তো এটার সুযোগ তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন নিয়ে তাকে বলে তোর অংশ ও তোর ভাই এর অংশ নিয়ে আয় না হলে তোকে তালাক দিবো বলে হুমকি দেয়। বিষয় টা মেয়ের মা নিলুফা আহম্মেদ বাড্ডা থানায় একটি ডাইরি করেন এটা জানার পর মুনিয়া স্বামী তাকে অত্যাচার আরো বাড়িয়ে দিয়েছে যে যেহেতু পুলিশ কে জানানো হয়েছে তোকে মেরে ফেলবো। আজ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টায় মুনিয়া আহমেদ কে আবার মারধর করে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে পরে তার ছোট ভাই গিয়ে ঘটনাস্থলে তাকে উদ্ধার করে। এবং আইন এর আশ্রয় চায় এবং মিডিয়া কে অবগত করেন।