রিপোর্টার, ইয়াসিন চৌধুরীঃ
বনশ্রীতে স্বর্ণচুরির মামলায় ১ বছরেও উদ্ধার করা যায়নি চুরি হয়ে যাওয়া ৬৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ অর্থ, এদিকে সর্বস্ব হারিয়ে দোকান মালিকের মৃত্যু, শোকে স্তব্ধ পুরো পরিবার। গত বছর ডিসেম্বরে বনশ্রী সি ব্লকে মা-মনি জুয়েলার্স থেকে দোকান কর্মচারী শফিউল্লাহ দোকান মালিকের অনুপস্থিতিতে দোকান থেকে ৬৫ ভরি স্বর্ণ এবং ২ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর দোকান মালিক বাদী হয়ে গত ২৯/১২/২০২১ ইং তারিখে রামপুরা থানায় মামলা (মামলা নং-১৮/৩৫২) দায়ের করেন। পরবর্তীতে চোর ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। সর্বস্ব হারিয়ে শোকাবহ দোকান মালিক অসুস্থ হয়ে গত ১৭ এপ্রিল ২০২২ এ মৃত্যু বরণ করেন। এদিকে বাদীর মৃত্যুর পর ২০২২ এর আগস্ট মাসে চোর শফিউল্লাহ সিলেটে ধরা পড়ে এবং আদালতের মাধ্যম হয়ে ২ ভরি ৪ আনা স্বর্ণ মালিকের ওয়ারিশকে হস্তান্তর করে। ডিবির তদন্তকর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জমানের ভাষ্যমতে উদ্ধারকৃত কিছু আলামত পাওয়া যায় চোরের বোন হাসিনার কাছে এবং তিনি হাসিনাকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হন। এতোদিন পেরিয়ে গেলেও চুরির সাথে সরাসরি জড়িত চোর শফিউল্লাহর দুই বোন হাসিনা ও হাজরা আক্তার এবং সিলেটে আশ্রয়দাতা খালাত ভাই আলমকে ডিবি গ্রেফতার করতে পারেনি যাদের কাছে এখনো স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে বলে জানা যায়। দোকান মালিকের বড় ছেলে এমরান হোসেন জানান, দোকান চুরি এবং তার বাবার মৃত্যর পর তারা আর্থিক ও মানসিক কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। তিনি আরো বলেন তার বাবা মৃত মো: আব্দুল মান্নান ব্যাংক লোন নিয়ে দোকানে স্বর্ণ গহনা তুলেছেন যার পুরো অংশটুকু চোর শফিউল্লাহ চুরি করে নিয়ে যায়। বর্তমানে ব্যাংক লোনের টাকা পরিশোধ করতে পরিবারের ব্যক্তিবর্গ হিমসিম খাচ্ছেন। এমরান হোসেন আরো দাবি করেন, চুরির সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ করে চোরের দুই বোন হাসিনা ও হাজরা এবং চোরের খালাত ভাই আলম কে আইনের আওতায় আনা হলে তাদের মালামাল পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে চোরের বউ ছকিনার কাছ থেকে জানা যায় চোরের খালাত ভাই আলমের কাছে চোর দুই লাখ টাকা এবং একটা অটো গাড়ি গচ্ছিত রেখেছে। এদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রসাশনের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার।