মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে বেজগাও ইউনিয়নের ঈদগাঁও মাঠ সংলগ্ন বুধবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় সময়, ৩০ থেকে ৪০ জনের একটা গ্রুপ লৌহজং বেজগাও ইউনিয়নের বেজগাঁও ঈদগাঁও মাঠে জড়ো হয়ে, জিয়ার সৈনিক এক হও এক হও, আওয়ামী লীগের নেতারা হুঁশিয়ার সাবধান, ১০ তারিখের সমাবেশ সফল করো স্লোগান দিয়ে, ককটেল ফাটিয়ে বেজগাঁও বাবুরবাড়ি রোডের দিকে চলে যায়।
লৌহজং অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল আল তায়াবীর এবং তার ফোরসহ ঘটনাস্থলে বিস্ফোরণের ককটেল আলামত জব্দ করেন।
বেজগাও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ফিরোজ আহমেদ মোল্লা, টেউটিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান মোল্লা, আবু নাসের রতন সহ তেউটিয়া ও বেজগাঁও, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এর নেতারা বলেন, ১০থেকে ১৫ টি ককটেল ফাটিয়ে দৌড়ে যাওয়ার সময়, আমাদের কর্মী, মোঃ রাকিব (২৫), হাবিব (২২), আলআমিন (৩০), সুমন (৩৯) এর উপর হামলা চালিয়ে জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে, নিলা ফোলা যখন করে। এ সময় ওদের হামলায় পথচারী আহত হন। তাদেরকে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ পাঠানো হয়েছে।
রাস্তার পাশে চায়ের দোকানদার মোঃ লিটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বললে তিনি আনুমানির সন্ধ্যা সাতটার দিকে ৩০/৪০ জন একটা দল স্লোগান দিয়ে ককটেল ফাটিয়ে তার দোকানের সামনে দিয়ে চলে যায়। এ ব্যাপারে কাউকে চিনতে পারেননি বলে জানায়।
তৎক্ষণাত লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ গেলে আহত ১ জনকে দেখতে পাই, বাকিদের কথা জিগেস করলে, চিকিৎসা নিয়ে তারা চলে গেছে বলে জানায়। আহতর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে আওয়ামী লীগের কর্মী জানায়, আমরা চার-পাঁচজন চায়ের দোকানের সামনে অবস্থান করছিলাম, হঠাৎ করে অনেক লোক স্লোগান দিয়ে, ককটেল ফাটিয়ে মোড়ের দিকে আসে, আমাদের দেখে আমাদের উপর হামলা চালায়, আমরা তাদের কাউকে চিনতে পারি নাই।
লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আমাদের এখানে তিনজন রোগী এসেছিল, আমরা তাদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল আল তায়াবীর এর সাথে কথা বললে তিনি জানান আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।