তিতাসে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি, ভালো ফলনের আশা কৃষকের

received_564450408436536.jpeg

মোঃ জুয়েল রানা, স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রকৃতিজুড়ে বইছে এখন শীতের হাওয়া। আর এই শীতের হাওয়ার মধ্যে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে বিস্তৃত এলাকা। এমন চোখ জুড়ানো হলুদের মেলা প্রকৃতিকে সাজিয়েছে অপরূপ সাজে। এক ফুল থেকে আরেক ফুলে গুন গুন করে মধু আহরণে ভিড় করছে মৌমাছিরা।

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ক্ষেতের পর ক্ষেতে সরিষা ফুলের এমনই নয়নাভিরাম দৃশ্যের দেখা মিলবে। সেইসঙ্গে কৃষকরাও এবার ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন। যদি প্রকৃতি বিরূপ আচরণ না করে তাহলে এবার তাদের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস তথ্য মতে এবার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে আবাদ হয়েছে ৪২৭ হেক্টর জমিতে। যা গতবছর তুলনায় আবাদের পরিমান দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও গত বছর থেকে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনে বেশ গুরুত্ব দেয় সরকার। সেকারণে এবার সরিষার চাষ বাড়িয়েছেন কৃষকরা।

উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের সরিষা চাষি শহিদুল্লা জানান, এ বছর ২ কানি জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। কানি প্রতি প্রায় ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সরিষার গাছ ভাল হয়েছে। আশা করছি বাম্পার ফলন হবে।

জয়পুর গ্রামের কৃষক আইয়ুব খান মোল্লা জানান, গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভাল পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষ করেছি ফলন ভালো ও দাম পেলে আগামী বছর সরিষা চাষে আরো অনেকেই ঝুঁকে পড়বে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সলাহ উদ্দিন বলেন, কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে এবং গতবছর তুলনায় এবছর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যা হেক্টর প্রতি সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১.৩৯ মেট্রিক টন।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা সরকারিভাবে উন্নত জাতের সরিষা বীজ ও সার বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেছি। যে কারণে কৃষকরা আগ্রহ করে সরিষা চাষ করেছে। আমরা আশাবাদী, আগামীতে সরিষার চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে। সেই সঙ্গে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এবং দেশ একসময় তেল ফসল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top