স্টাফ রিপোর্টার :
জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্টপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা পল্লীমাতা বেগম রওশন এরশাদ বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই প্রথম সাহসিকতার সাথে জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী মিশনে শসস্ত্র বাহিনী প্রেরণ করেন ১৯৮৮ সালের আজকের এই দিনে। এরশাদের এই যুগান্তকারী ঐতিহাসিক পদক্ষেপের কারণে শান্তিরক্ষায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী। যা পৃথিবীজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের সেনা বাহিনী পৃথিবীর সেরা সেনাবাহিনী। আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করছিলেন।
আজ গুলশানস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব গোলাম মসিহ্ এর সভাপতিত্¦ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ, সাবেক মন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু ও সাবেক এমপি এম এ গোফরান। বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, এরশাদের এই মহতি কর্মকান্ডের বিরোধীতা করে বিরোধী দলগুলো হরতাল ডেকেছিলো আজকের এই দিনে। কিন্তু আজ প্রমাণিত হয়েছে দেশ প্রেমিক এরশাদের সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল। যতদিন যাবে এরশাদের সু-শাসন ইতিহাসের পাতায় আরো সমৃদ্ধ হবে। আফ্রিকা, মধ্যপ্রা”্যে ও ইউরোপে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমান বিশে^র ৮টি দেশে ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ৬ হাজার ৮৩২ জন সদস্য শাস্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছেন। ৭০১ জন নারী শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সাফল্যর সাথে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। বর্তমানেও ৩৭২ জন নারী কর্মরত আছে। মিশনের নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ১৩৯ জন সশস্ত্র বাহিনী সদস্য শহীদ হয়েছেন ও আহত হয়েছেন ২৩৭ জন।
বেগম রওশন এরশাদ আরো বলেন, জাতিসংঘ মিশনে পেশাদারী মনোভাব বজায়, কর্তব্যপরানয়তা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যারা আত্মহুতি দিয়েছেন. তাদের আত্মত্যাগকে গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী পেশাদারীত্বের পাশাপাশি অর্পিত দায়িত্বের প্রতি এক নিষ্ঠতা, শৃঙ্খলা, দক্ষতা ও মানবিক আচরণের মাধ্যমে আগামী দিন গুলোতে ও বাংলাদেশের সুনাম আরো বৃদ্ধি করবে।