ইমদাদুল ইসলাম,মাধবপুর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :-
ক্রমবর্ধমান দাবদাহ ও গরমে তরমুজের চাহিদা মাথায় রেখে তরমুজ চাষে মনযোগী হন ইবাদুর রহমান বিল্লাল। সুইট ব্লাক-২ জাতের তরমুজ চাষ করে বাম্পার ফলন হয়েছে তার। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার কমলপুর গ্রামের এই কৃষি উদ্যোক্তা তার ৯০ শতাংশ জায়গাতে প্রায় ১০ টনের অধিক এই জাতের তরমুজ ফলিয়ে সকলের নজরে এসেছেন।
ইবাদুর রহমান তার সকল খরচ বাদ দিয়ে ১ লক্ষের অধিক টাকার লাভ করেছেন।এছাড়া তরমুজ চাষের জন্য মালচিং,নেট ও অন্যান্য জিনিসপত্র যা রয়েছে তা আরো কয়েক দফায় পরবর্তীতে ব্যবহার করা যাবে।
তিনি বলেন,এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়ায় এই চায়না তরমুজ বেশি ফলন হয়,গরমে এর চাহিদাও বাজার বেশি। তাই আমি এটি আরো বেশি পরিসরে চাষ করার চিন্তা ভাবনা করছি।এ ক্ষেত্রে কৃষির প্রনোদনার ঋণ পেলে বিশেষ উপকার হতো।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,ইবাদুর রহমান বিল্লাল মৎস্য, সেচ ও সবজি খাতের কৃষি উদ্যোগের পাশাপাশি তিনি স্থানীয় একটি হাফিজিয়া কওমিয়া মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন।স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবেও নিযুক্ত থাকা সারা জীবন কাটিয়েছেন রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো:আল মামুন হাসান
বলেন,ইবাদুর রহমান বিল্লাল সাহেব তরমুজ ফলিয়ে যে লাভের মুখ দেখেছে এতে এলাকার আরো অনেকে তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ হবে।আমরা তাকে সাধ্যমত পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
স্থানীয় বাসিন্দা জাতীয় কৃষক বধু মিয়া জানান,বিল্লাল সাহেব তরমুজ চাষে যথেষ্ট বুদ্ধি ও শ্রম দিয়ে কাজ করার কারণে তিনি বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন। আমি তরমুজের পাশাপাশি সাম্মাম চাষেও তাকে সার্বিক সহযোগিতা করতে চাই। জলবায়ু পরিবর্তন কারনে পরিবর্তন দাবদাহে পানিযুক্ত ফসল যেমন তরমুজ হতে হবে বর্তমানের লাভজনক কৃষি ব্যবসা।