মাধবপুর হবিগঞ্জ প্রতিনিধ, ইমদাদুল ইসলাম:-
ছবিতে যে উড়াল সেতুটি দৃশ্যমান এটি দ্বারা কোনো যানবাহন তো দূরে থাক, কখনো মানুষ কিংবা গবাদিপশু ও পারাপার হতে দেখা যায়নি। গত ১০ বছরেও এ সেতু থেকে কোনো সুফল পায়নি এলাকার জনগন। অথচ হরষপুর ৩২ নম্বর ব্রীজের দু’ধারে প্রায় ৪ কিঃমিঃ রাস্তা যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত আছে। রাস্তা তৈরি থাকা সত্ত্বেও চলাচলে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে হাসিনাবাদ- জামালপুর সংযোগ সেতুটি। রেলের ৩২ নম্বর ব্রীজের পাশেই সংযোগ বিহীন এই কালবার্ডটির অবস্থান।
হরষপুর থেকে কাসিমনগর স্বল্প দূরত্বের রাস্তা হলেও এটি অতিক্রম করতে চরম মাসুল দিতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। ৪ কিঃমিঃ রাস্তা পারি দিতে, পেরিয়ে আসতে হয় ১০ থেকে ১৫ কিঃমিঃ পথ। এতে যেমন হয় অর্থের অপচয়, ব্যয়ও করতে হচ্ছে অতিরিক্ত সময়। বর্ষাকালে নালে পানি বেশি থাকায় জনসাধারণকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় রেল ব্রীজের তক্তা চেপে। ১৫০ ফিট ব্রীজটি কাঠের তক্তা চেপে পার হতে একজন সুস্থ মানুষের সময় লাগে প্রায় ৮-১০ মিনিট। তৎক্ষনাৎ ট্রেন চলে আসলে জীবন পড়ে চরম হুমকির মুখে। দুর্বল মনের মানুষের পক্ষে এটি পার হওয়া প্রায় অসম্ভব।
২নং চৌমহনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জনগন চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে বারবার বঞ্চিত হচ্ছেন। ২০১০ সালে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে জনমনে আশার আলো জাগে। তারই ফলশ্রুতিতে আমরা হরষপুর থেকে কাশিমনগর পর্যন্ত আধা পাকা রাস্তা পাই। এর জন্য সরকারের প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। একই সাথে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মাননীয় প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এমপি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আপনার এলাকার বাসিন্দাদের দূর্ভোগ লাঘবে বহু কাংখিত এই সেতুটি স্থাপন করে আমাদের আবারও কৃতজ্ঞ করবেন।