মোঃ আবু বকর,সুনামগঞ্জর জেলা প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের নেপালকুঠি গ্রামের এক নিরীহ পরিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন, পৈতৃক ভূমি আত্মসাতের চেষ্টা চালানো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করায় নিজেদের খড়ের গাদা পুড়িয়ে হয়রানির করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের নেপাল কুঠি গ্রামের কৃষক আবু ছায়াদ তাঁর বসত বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তিনি বলেন, একই গ্রামের পাশ্ববর্তী বাড়ির মৃত আলাউদ্দিনের পুত্র ইকবাল হাসান রতন বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পদে চাকুরী করেন। তার ভাই বুরহান, মাসুদ রানা এবং তার আত্মীয় স্বজনরা এলাকার প্রভাবশালী লোক বটে।
ইকবাল হাসান রতন বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরি করার সুবাদে তারা এলাকায় বেশ প্রভাব প্রতিপত্তি দেখায়।
ইকবাল হাসান ও তাঁর আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত মাঠ জরিপের সময় সরকারি কর্মকর্তার দাপট দেখায়ে বসতভিটেসহ আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির সাড়ে তিন একর ভূমি গোপনে তাদের নামে মাঠ করিয়ে নেয়। পরে খোঁজ পেয়ে আদালতে একটি স্বত্ত মোকদ্দমা দায়ের করি। ওই মামলায় সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত শোকজ নোটিশ প্রেরণ করলে তারা আমাদের বিরুদ্ধে নানাভাবে উঠেপড়ে লেগে থাকে। সম্প্রতি তাদের বসতবাড়িতে খড়ের গাদা পোড়ানো কে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ঘটনা সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলা করে।
সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষকের বয়োবৃদ্ধা স্ত্রী সাহেরা খাতুন বলেন, বাড়িতে আমরা বুড়ো-বুড়ি ব্যতিত কোন পুরুষ লোক নেই। প্রতিপক্ষ গোপনে আমাদের জায়গা সম্পত্তির মাঠ পর্চা করে নিলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে স্বত্ত মোকদ্দমা দায়ের করি। এরই জেরে তারা নিজেরাই খড়ের গাদা পুড়িয়ে উল্টো আমাদের ফাঁসাতে চাইছে। তারা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
গ্রামের আব্দুল কাদির বলেন, কৃষক আবু ছায়াদ প্রায় ৭০ বছর যাবত তার পৈতৃক সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছে। শুনেছি এই জায়গা সম্পত্তি ইকবাল হাসান রতনদের নামে মাঠ করে নিয়েছে। আবু ছায়াদ এলাকার নিরীহ বলেই প্রভাবশালীরা তাদের সহায় সম্পত্তি নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল হাসান রতন বলেন, বাড়িতে ওইদিন আমার বোন ও মা ছিলেন, খড়ের গাদায় হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠলে আমার বোন দরজা খুলে দেখেন আবু ছায়াদ ও তার স্ত্রী দৌড়ে ঘরে চলে যাচ্ছে।
জানতে চাইলে বোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিলন খান বলেন, জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।