কিস্তির টাকা নিতে এসে খুন, ৭ দিন পর লাশ উদ্ধার

received_1501592843711548.jpeg

মো: রাসেল, চন্দ্রগঞ্জ প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরে কিস্তির টাকা নিতে আসা মো. ইউনুস আলী (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার পর মাটিতে পুঁতে রাখেন, জাবেদ হোসেন নামে এক চা-দোকানি। ঘটনার ৭ দিন পর পুলিশ নিহত ব্যক্তি লাশ ও পুকুর থেকে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। ঘাতক চা-দোকানি জাবেদ আটক রয়েছে।

বৃহস্প্রতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে পৌর শহরের ‘কালি হাজি সড়কের মিঝি বাড়ী সংলগ্ন’ ওই চা-দোকানির দোকানের পিছন থেকে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার ও দোকানের সামনের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় মোটরসাইকেল।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যন্ড অপস্) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন, সদর (সার্কেল) মো. সোহেল রানা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন।
নিহত ইউনুস আলী ফরিদপুর সদর উপজেলার সোভারামপুর গ্রামে মৃত আব্দুর রশিদ মোল্লা ছেলে ও ১ ছেলে ১ মেয়ে সন্তানের বাবা।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার (৭ নং ওয়ার্ড) সমসেরাবাদ এলাকায় গণি হেডমাস্টার সড়কে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। পাশাপাশি তিনি গ্রামীণ বাংলা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির স্বত্বাধিকারী।

চা-দোকানি জাবেদ হোসেন (৭নং ওয়ার্ড) সমসেরাবাদ এলাকার মিঝি বাড়ীর মৃত সফি উল্লাহর ছেলে।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৪  আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে ইউনুস আলী নিখোঁজ হন। ওই-রাতেই ইউনুস আলীর স্ত্রী সুলতানা জামান সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে চা-দোকানি জাবেদকে জিজ্ঞাসা বাদ করতে থানায় নিয়ে আসেন। জাবেদর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী (আজ) সকালে তার দোকানের পিছন থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং দোকানের সামনের পুকুর থেকে ইউনুস আলীর মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কিস্তির টাকা নিয়ে ইউনুস আলীর সঙ্গে চা-দোকানদার জাবেদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দোকানী ইউনুস আলীর মাথায় আঘাত করলে সেই মারা যায়। দোকানীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে সেই পুলিশ হেফাজতে আছে

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top