মশিউর রহমান সুজন:
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবলীগের আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাষ্টনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ।
শুক্রবার ১৯ শে মে সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কাজলায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা’র
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন,কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এমপি ঢাকা-৫ ও মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল,সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনয় ছিলেন এইচ এম রেজাউল করিম রেজা ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, টানা ১৫ বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এ দেশকে এখন উন্নয়নশীল দেশের পথে নিয়ে এগিয়ে চলছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার হাত ধরে প্রতিদিন উন্নয়ন হচ্ছে বাংলাদেশ। এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে বিএনপি জামাতের দোসর’রা।
সেই তারা দিন দিন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগকে এক হয়ে এই দোসরদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।
সংসদ সদস্য কাজী মনু বলেন,জামায়াত বিএনপি এদেশকে ধংস করার যে পায়তারা করছে তা পারবে না। তাদের সে স্বপ্ন পুরন হবে না। তিনি জামাত বিএনপি’রকে উদ্দেশ্য করে বলেন তোমাদের জন্য যুবলীগই যথেষ্ট। তোমরা সাবধান হয়ে যাও।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে মির্জা আজম বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যে দলের জন্ম দিয়েছিল তারা আবার গনতন্ত্র শেখায়। এই জিয়া আমৃত্যু পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ক্ষতি করছে। বিএনপি’র আমলে আ’ লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। তাদের ক্ষমতা কালে খুন ধর্ষন চাদাবাজি অগ্নিযোগ করে এদেশকে ৫ বার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। তাদের ভয়ে নারীরা ঘরে থাকতে পারেনি।
বিএনপি’র আমলে বাবার সামনে মেয়েকে, ছেলের সামনে মাকে ধর্ষন করেছিল। আওয়ামী লীগের আঞ্চলিক নেতাদের খুন করে আওয়ামী লীগকে পঙ্গু করতে চেয়েছিল এই বিএনপি । নির্মমভাবে খুন করেছিল খুলনার মনজুরুল ইমামকে, গাজিপুরের জনপ্রিয় আওয়ামী লীগের নেতা আহসানুল হক মাষ্টারকে। এতে ও তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি, তারা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার উপরে ১৩ টি গ্রেনেট হামলা করেছিল।
এই বিএনপি, আওয়ামী লীগের নেতাদের খুন করে আবার সেই খুনের জন্য নেতাকর্মীদের সাক্ষী করতে চাপ প্রয়োগ করেছিল। আজ তারা গনতন্ত্র শিখায়।
তিনি আরো বলেন, তত্বাবধায়ক সরকার তো খালেদা জিয়া বিশ্বাস করেননি। তিনি জোর করে নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের আন্দোলনে সেই সরকার টেকেনি। বিএনপি জামাত ২০১৫ সালে হঠাৎ করে স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা শুরু করে। যেমন করেছিল তারাদের পূর্বপুরুষেরা। ৭১ সালে এদেশের মেধাকে ধ্বংস করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল।
আজম বলেন, তারা আজ বিদেশী প্রভুদের কোলে বসে শেখ হাসিনারকে বিদায় করতে ষড়যন্ত্র করছে। যা এদেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে। তাদের সেই ষড়যন্ত্রের সাড়া এদেশের মানুষ কক্ষনো দিবে না । আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে বলে জানান।অনুষ্ঠানেও আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক, উপ দপ্তর সম্পাদক আরিফুর রহমান, শামীম আহম্মেদসহ আওয়ামী যুবলীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মীবৃন্দ।
এ সময় ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ ।