মোঃ জাহাঙ্গীর শিকদার,স্টাফ রিপোর্টার:-
দীর্ঘ সময় ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভায় নির্বাচন না হওয়ায় পৌরবাসী অভিভাবকহীন হয়ে আছে। সেই সুযোগে চলছে লুটপাট মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী মেয়র ও নয়টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং তিনটি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পৌর এরিয়া নিয়ে মামলা জটিলতায় নির্বাচন স্থগিত হয়। যার ফলে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পৌর প্রশাসকের দ্বায়িত্ব অর্পণ করা হয়।
একদিকে তিনি সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও অপর দিকে পৌরসভার দ্বায়িত্বে বহাল থাকাবস্থায় বিশাল ব্যস্ততায় সময় পার করতে হয়। বেশিরভাগই তিনি উপজেলায় সময় দেয়ায় পৌরসভার সচিব মাশরেকুল আলম, কনর্জাভেটিভে ইনস্পেকট সেলিম সহ তার সহযোগী দ্বায়িত্বে থাকা আমলারা করছে অনেক অনিয়ম সেই সাথে সনদ, ওয়ারিশ, জন্মনিবন্ধনের জন্য হাতিয়ে নিচ্ছে অনেক টাকা। যেন চলছে লুটের মেলা। এছাড়া জায়গা জমিনের মাপ ও বিচার শালিসের ফাইল পরে আছে বছরের পর বছর।
জানা যায়, কনর্জাভেটিভ ইনস্পেকটর সেলিম আহম্মেদ তিনি মশার ঔষধের নাম করে কেরোসিন তেল দিয়ে মশা নিধনের লোক দেখানো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন আর সেই সাথে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকাও। পৌরসভার বিভিন্ন গাড়ি ভাড়ার টাকা জমা না দিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিচ্ছেন মাশরেকুল আলম সচিব ও তার সহযোগী সেলিম আহম্মেদ। তারা পৌরসভার গাড়ি ভাড়া দেয় পাঁচ দিনের জন্য আর টাকা জমা দেয় একদিনের।
জন্ম নিবন্ধন এর মতো একটা সনদেও ব্যবহার হচ্ছে নিন্মমানের সনদ।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, গতকাল ০৩/১০/২০২৩ইং তারিখে মাষ্টার রোলে থাকা ৩১ জন কর্মচারীদের পৌরসভা অফিস থেকে বের করে দেয়া হয়। কারন জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, কয়েক মাস যাবত সরকারি সার্ভারে সমস্যা থাকায় জন্ম নিবন্ধন, সনদ দেয়া যাচ্ছিল না। এমতাবস্থায় কে বা কারা তা করে দিবে বলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। এই খবর যখন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আসে তিনি জিজ্ঞেস করলে কেউ স্বীকার না করায় এই ৩১ জন কর্মচারীদের পৌরসভা অফিস থেকে বের করে দেন।
আরো জানা যায়, বিশেষ ভাবে একটা মহিলাকে অফিস ফান্ড থেকে অগ্রিম এক লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে। ওই মহিলার সাথে সচিব সাহেবে কিছু অন্তরঙ্গ সম্পর্ক থাকায় ঠিকমত অফিস না করিয়েও মাসের পর মাস বেতন দিয়ে যাচ্ছেন। এখন প্রশ্ন হলো যেহেতু ঐ মহিলার চাকরি নাই কিভাবে ঐ টাকা পরিশোধ করবে বা আদায় করবে? এই টাকা কি সচিব স্যারের নিজের নাকি পৌরসভা ফান্ডের?
ইন্জিনিয়ার সাহেব নিজেই সকলের অগোচরে কোটেশনে কাজ করছে যাচ্ছে।
এছাড়া সাংবাদিকদের টীম সংবাদ সংগ্রহে পৌরসভা অফিসে প্রবেশ করলে দেখতে পায় তারা তাদের নিজস্ব কক্ষে নেই। জিজ্ঞেস করলে বলা হয় অফিসের কাজে বাহিরে আছেন। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় উনার পৌরসভা অফিসে একটি পার্সোনাল বিশ্রামঘর বানিয়ে সেখানে ঘুমাচ্ছেন এবং সর্বদাই শুয়ে বসে সময় কাটান যেন তাদের অফিস নয় আবাসিক আবাস্থল।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান উল ইসলাম কে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, পৌরসভা অফিসে ৩১ জনের মধ্যে ১২ জনকে বহাল করা হয়েছে। তাদের জন্য সরকারি ভাবে আলাদা কোন বেতন না থাকায় মাস শেষে ১০ হাজার টাকা করে দিতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয় আর আনিত অভিযোগ সম্পর্কে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।