মতিউর রহমান তালুকদার,পটুয়াখালী জেলা দক্ষিণ প্রতিনিধি ::-
২০ অক্টোবর শুরু হবে দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা, তাই পাড়া মহল্লাসহ প্রতিটা গ্রামের মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরি ও সাজ সজ্জার কাজ। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জেলার ৮ উপজেলার দুইশত’টি মিন্দরে অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব। মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমাসহ সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। প্রতিমা তৈরিতে নাড়াকুটার কাজ শেষ। চলছে শেষ মুহূর্তের মাটির কাজ। এছাড়া লাইটিং ও প্যান্ডেল সাজানোর কাজও চলছে। অধিকাংশ মন্দির থেকে এলাকাজুড়ে থাকছে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা। দুই চার দিনের মধ্যেই শুরু হবে রংয়ের কাজ। পূজা আয়োজক কমিটি মনে করছেন ২০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকের বাদ্যে মেতে উঠবে জেলার হাজারো সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দেবী দূর্গার আগমনে দূর হবে সকল অশুভ শক্তি। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এ উৎসবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদ। এদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে পুলিশের নজরদারি সহ সিসি ক্যামেরা। দুই থেকে তিন দিন পরে রংয়ের কাজ শুরু করবেন। পূজা উদযাপনের তিন চার দিন আগেই প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হবে। পূজা উদযাপন কমিটি প্যান্ডেল তৈরি থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করেছে।
কলাপাড়া উপজেলা’র সার্বজনিন দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা কারিগর উত্তম জানান, নাড়াকুটার কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে । দিনরাত মিলিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ করা হচ্ছে । প্রায় স্থানে মাটির কাজ শেষ হয়ে এসেছে । মাটি শুকানোর পরই রংয়ের কাজ শুরু করবে পূজা আয়োজক কমিটিরা। পটুয়াখালী সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জি জানান, আমাদের জেলা প্রশাসন এবং পূজা কমিটির সভা হয়েছে। আমাদের বেশির ভাগ মণ্ডপের দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি আশি ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এ উৎসব ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার। তাই আমরা সবাইকে এ উৎসব উপভোগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। পটুয়াখালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, আমাদের পটুয়াখালী’র প্রতিটা মণ্ডপে পূজা চলাকালীন সময় আনসার সদস্য এবং পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি আমাদের টহল টিম মাঠে কাজ করবে। এছাড়া প্রতিটা মণ্ডপই সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। আশা করছি শান্তিপূর্ণ ভাবে দুর্গাপূজা শেষ হবে।