ওমর ফারুক,রিপোর্টারঃ
গত ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ইং গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন সেজাবর গ্রামের মোঃ সাফা মিয়ার ছেলে ইউটিউবার আলম হাসান এর বাড়িতে এক সন্তান নিয়ে স্ত্রীর দাবীতে অনশন করেন।
এমন সংবাদ সংগ্রহের জন্য বাংলা টিভির গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি সৌরভ শিকদার,ডিবিসি নিউজের চিত্র সাংবাদিক রমজান এবং এস এ টিভির চিত্র সাংবাদিক মোঃ রেজাউল করিম সহ আরও বেশকিছু সংবাদ কর্মী।
উক্ত সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তার বাবার মোবাইল ফোনে দিয়ে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মামলার ভয়ভীতি দেখান ইউটিউবার আলম হাসান,অতঃপর মিথ্যা মামলা দায়ের করেন কয়েকজন সাংবাদিকের নামে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, সাদিয়া আক্তার ইয়াসমিন মুসলিম শরীয়ত মোতাবেক পূর্ববর্তী স্বামীকে তালাক প্রদান করেন, অতঃপর ফেসবুকের মাধ্যমে আলম হাসানের সঙ্গে পরিচয় হয় তা আস্তে আস্তে রুপ নেয় প্রেমের সম্পর্কে।
সাদিয়া আক্তার ইয়াসমিন জানান, গত ১৪ই এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর মাওনা চৌরাস্তা এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে বিবাহের হলফনামা তৈরীর জন্য ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন।
এবং তার নিকট হতে ছবি সংগ্রহ করেন আলম হাসান
এবং সাদিয়া আক্তার ইয়াসমিনকে গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ২নং হলরুমের দক্ষিণ পাশে রেখে বিবাহের হলফনামা তৈরী করে দেখান,
অতঃপর জয়দেবপুর থানাধীন মনিপুর বাজারে ফজলু মোক্তারের ভবনের নিচ তলায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে দেন আলম হাসান এবং স্বামী স্ত্রীর হিসাবে ১৫ দিন যৌন সহবাস করেন।
তার কিছুদিন পর তাকে স্ত্রী হিসাবে অস্বীকার করে অতঃপর লাপাত্তা হন আলম হাসান, তার ভরনপোষনের খরচ না দেওয়ায় সাদিয়া আক্তার ইয়াসমিন তার বাড়িতে গিয়ে অনশন করেন।
এবিষয়ে উক্ত ভুক্তভোগী সাংবাদিকগন জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডাইরী করেন, এবং ভুক্তোভোগী সাদিয়া আক্তার ইয়াসমিন বাদী হয়ে গাজীপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
যাহার সি আর মামলা নং – ১০৯৭/২০২৩ ইংএর আগে নোয়াখালী থেকে সিদরাতুল মুনতাহা (১৩) নামের আরেকটি মেয়েকে নিয়ে এসে দেশের বিভিন্ন যায়গায় থাকেন আলম হাসান।
পরে মেয়েটির অভিভাবক খোজ খবর নিয়ে আলম হাসানের বাড়িতে আসেন ১৩/১০/২০২৩ ইং তারিখে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের বাড়িতে বসে আপস মীমাংসার মাধ্যমে মেয়েটিকে নিয়ে যান তারা।
এর আগেও প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়ে আলম হাসানের ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় গত ২৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে সারা বাংলাদেশে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উপজেলা শাখা সমূহ।