আবহমান বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরে মুন্সীগঞ্জে পালিত হলো পহেলা বৈশাখ

received_439275535434484.jpeg

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ঋতু পরিক্রমায় পুরনো দিনের জীর্ণতা শেষে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে মুন্সীগঞ্জ নানা আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন।
এদিন বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপনে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে মুন্সীগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন এসে শেষ হয়। পরে শিল্পকলা একাডেমি প্রঙ্গণে গ্রামীণ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।

মেলায় গ্রামীণ ঐতিহ্য তুলে ধরে মৃৎশিল্পী, জামদানী শাড়ি, শিতল পার্টি,স্নেহা বুটিকস,নারগিছ নকশিকাঁথা,পিঠাঘর সহ বিভিন্ন স্টল বেসেছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর রিপন এর নেতৃত্বে এতে মুক্তিযোদ্ধা,জেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা ছাড়াও শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

শোভাযাত্রাটিতে বাংলা বিভিন্ন ঐতিহ্য তুলে ধরে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর রিপন ।
এবারের শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানান বিষয় স্থান পেয়েছে। এ ছাড়াও রঙ-তুলির আঁচড়ে আঁকা বাঘ, সিংহসহ নানা রকমের মুখোশের দেখা মিলেছে। শোভাযাত্রা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রঙ্গণে।

এদিকে নতুন বছরকে বরণে পান্থা ইলিশের আয়োজন করা হয় জেলা প্রশাসকের বাস ভবনে সেখানে জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও সর্বস্থরের মানুষ পান্থ ইলিশ ভোজনে যোগদেন।
এদিন মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘিরে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয় পুরো এলাকা।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রাকে বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের মাধ্যমে কূপমণ্ডূকতা ও সংকীর্ণতার ঘৃণ্য অবয়বের ওপর সাংস্কৃতিক আঘাত হিসেবে দেখা হয়ে থাকে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top