আফিফা নৌশিন :-
আইনজীবী সনদ পরিক্ষা বিসিএস পরিক্ষা থেকে কঠিন হয়ে গেছে। বিসিএস পরিক্ষা পাশ করার পরে সরকারি চাকরি উচ্চমানের বেতন ভাতা পাবে। আইনজীবী পরিক্ষা পাশ করে থানা ও কারাগারে সামনে বসে থাকতে হবে মামলা খোঁজার জন্য। মামলা পেলে সংসার ভালো চলবে না হলে পেলে ধার দেনা করে চলতে হবে।
যে কোনো আইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর শিক্ষার্থীদের সনদ লাভের জন্য বার কাউন্সিলে এমসিকিউ, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিতে হয়। এগুলোর যে কোনো একটাতে অনুত্তীর্ণ হলে এমনকি মৌখিক পরীক্ষায় পরীক্ষা গ্রহণকারীরা সন্তুষ্ট না হলে শিক্ষার্থীদের পক্ষে সনদ লাভ করা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে ২০১২ সাল থেকে চালু হওয়া এমসিকিউ পদ্ধতির একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে সনদ লাভে আগ্রহীদের সংখ্যা কমানো। মৌখিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অনেককেই চরম অশোভন ও শিষ্টাচার বহির্ভূত প্রশ্ন করা হয়। চিকিৎসক বা প্রকৌশলীদের নিজ নিজ পেশায় অংশগ্রহণের জন্য এ ধরনের কোনো পরীক্ষা দিতে হয় না। তারা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি লাভের পরই শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ করার পর সনদ পেয়ে থাকে। বছরে দুইবার পরিক্ষা নেওয়া নিয়ম থাকলেও দুই বছর পর পর পরিক্ষা নিয়ে থাকে। পরীক্ষার্থীরা দুই বছর বসে থাকতে হয়। বার কাউন্সিল যদি মনে করেন তিন দফা কঠিন পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে আইনজীবীদের সংখ্যা কমানো দরকার, প্রতি বছর আনুমানিক ৪০,০০০(চল্লিশ হাজার)এমসিকিউ পরিক্ষা দিয়ে থাকে ১০০ নম্বর পরিক্ষা নেগেটিভ মার্ক দিয়ে থাকে এতে পাশ করে আনুমানিক ১৫,০০০(পনের হাজার) লিখিত পরিক্ষা পাশ করে।আনুমানিক ১০,০০০(দশ হাজার) মৌখিক পরীক্ষা ৫০০০থেকে ৭০০০মত শিক্ষানবিশ আইনজীবী শিক্পাশ করেন। তাহলে তাঁরা দেশে কী সংখ্যক আইনজীবী প্রয়োজন—সেটা নির্ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেই সংখ্যক ছাত্র ভর্তি করার নির্দেশ দিতে পারেন। কিন্তু সনদ লাভের জন্য শুধু আইনের শিক্ষার্থীদের তিন দফা কঠিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো তাদের জন্য অসম্মানজনক ও বৈষম্যমূলক। অন্য কোনো পেশাজীবীর জন্য এই নিয়মটি প্রচলিত নেই। বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা কাছে এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।