লাইফস্টাইল ডেস্ক : কফি পানের পাঁচ অভ্যাস করুন পেটের মেদ কমাতে। কফি পান উপকারী। তবে এতে বাড়তি চিনি ও অন্যান্য উপাদান যোগ করা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। সঠিক উপায় জানা থাকলে কফি পানেও পেটের মেদ কমানোতে সহায়তা করতে পারে।
কালো কফি পান : যারা ‘ব্ল্যাক কফি’ বা কালো কফি পানে অভ্যস্ত তাদের জন্য সুখবর হল এটা স্বাস্থ্যকর। বাড়তি চিনি বা ক্রিম ছাড়া কফি খাওয়া সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।
‘দ্য ফার্স্ট টাইম মম’স প্রেগ্নেন্সি কুকবুক অ্যান্ড ফুয়েলিং মেইল ফার্টিলিটি’ বইয়ের লেখক যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ লরেন ম্যানাকার ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “ব্ল্যাক কফি ক্যালরি মুক্ত ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। অনেক গবেষণায় জানা গেছে এতে থাকা ক্যাফেইন ওজন কমাতে সহায়তা করে।”
তিনি আরও বলেন, “কফিতে বাড়তি চিনি, ক্রিম ও অন্যান্য উপাদান যোগ করা পেটের মেদ আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই সাধারণ ও খাঁটি কফি পান করা পেটের মেদ কমাতে সহায়ক।”
দারুচিনি যোগ করা : ম্যানাকার বলেন, “কফির মিষ্টতা বাড়াতে হাইড্রোজেনেইটেড তেল সমৃদ্ধ ক্রিমার যোগ না করে বরং সকালের কফিতে স্বাদ মতো দারুচিনির গুঁড়া যোগ করতে পারেন। দারুচিনি কফিতে বারতি ক্যালরি যোগ না করে স্বাদ বাড়াতে সহায়তা করে।”
দারুচিনি কেবল কফিতে ক্যালরি ছাড়া স্বাদ বাড়ায় না বরং এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহনাশক হিসেবেও কাজ করে। কফিতে ক্রিম বাদ দেওয়া এবং কম চর্বি সমৃদ্ধ দুধ ব্যবহার ব্ল্যাক কফি খেতে পছন্দ না হলে তা ভিন্নভাবে স্বাস্থ্যকর উপায়েও খাওয়া যায়।
ডালাস নিবাসি ‘দ্য স্পোর্টস নিউট্রিশন প্লেবুক’য়ের লেখক এমি গুডসন বলেন, “অনেকেই কফি পানের সময় ভারী ক্রিম বা হুইপড ক্রিম যোগ করার মাধ্যমে বাড়তি চর্বি ও ক্যালরি যোগ করেন। মাঝে মধ্যে এমনটা খাওয়া দোষের কিছু নয়। তবে প্রতিদিন কয়েক কাপ এমনভাবে কফি পান দেহে বাড়তি ক্যালরি যোগ করে।” তিনি ক্রিমের বদলে কম চর্বিবহুল দুধ যোগ করার পরামর্শ দেন।
তার মতে, “ক্রিমের পরিবর্তে কম চর্বিযুক্ত দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ১৩টি অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি, উচ্চ মানের প্রোটিন থাকে যা ক্রিমের মতো ঘন আকার ও স্বাদ দেয়।”
ঘরে কফি বানানো : নিয়মিত বাইরের বা দোকানের কফি খাওয়া ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তাই গুডসন বাসায় কফি বানিয়ে গ্রহণের পরামর্শ দেন।
“বিলাসবহুল কফিতে বাড়তি শর্করা, স্বাদবৃদ্ধির জন্য সিরাপ, সস, হুইপ ও ড্রিজেল যোগ করা থাকে। কফি বাসায় বানানো হলে নিজের সুবিধা মতো এসব উপাদান ব্যবহার করা যায়। ফলে বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।”
কফিতে প্রোটিন যোগ করা : কফি পানকারীরা অনেকই এই কৌশল সম্পর্কে জানেন না। সকালে কফিতে প্রোটিন পাউডার যোগ করে পান করা হলে তা ওজন কমানোর লক্ষ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।