সানজিদা আক্তার : বিএমএসএফের নাম লোগো ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম- বিএমএসএফের নাম, লোগো অবৈধ ভাবে ব্যবহারের অভিযোগে কতিপয় বহিস্কৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার ৬মার্চ ঢাকা জেলা জজ আদালতে কপি রাইট আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা, ট্রাষ্টি ও প্রধান সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর বাদী হয়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদী পক্ষে আইনজীবি ছিলেন এডভোকেট খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম থেকে অনৈতিক, প্রতারণা, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের দায়ে বহিস্কৃত সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম পাইলট এবং সাঈদুর রহমান রিমন, সোহাগ আরেফিন, শারমিন সুলতানা মিতু, এনামুল কবির সোহেল, রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু ও জুয়েল খন্দকারকে আসামী করা হয়েছে।
তারা অবৈধভাবে সংগঠনের লোগো ও মনগড়া পদবী ব্যবহার করে সংগঠনের অন্যান্য সদস্য ও শাখাসমুহের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এরা সংগঠনকে অন্যায় ভাবে ব্যবহার করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। তাদের এই অবৈধ কমর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন।
আজ আদালত প্রাঙ্গনে ঢাকা জেলা দক্ষিণ সভাপতি রেজা নওফল হায়দার, মোশারফ হোসেন নীলু, ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি শিবলী সাদিক খান, ট্রাস্টি সদস্য রফিকুল ইসলাম খান মিরপুরী, জাতীয় পরিষদ সদস্য ইমন দাস, আলী হোসেন, মাহবুব আলম জীবন চৌধুরী, রেজাউল করিম, এসএম রাসেল, সুমন খান, জীবন চৌধুরী, সোহেল রানা, স্বাধীন সরকার, আফজাল হোসেন জাকির, ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লা, শাম্বু শাকিল প্রমূখসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ্যাডভেকেট খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে কপি রাইট ২০০০(২০০৫ সালের সংশোধিত এর ৭৬ ধারা) আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকায় আমরা স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আশা করছি আমরা ন্যায় বিচার পাবো।