মোঃ লিটন মাহমুদ, মুন্সীগঞ্জ থেকে : লৌহজং উপজেলার প্রধান সড়কে থাকা ছয়টি বেইলিব্রিজের সব কটিই জরাজীর্ণ। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার প্রধান সড়কে থাকা ছয়টি বেইলিব্রিজের সব কটিই জরাজীর্ণ। যে ব্রিজ দিয়ে মুন্সীগঞ্জের চার উপজেলার হাজারো মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। প্রধান এই সড়কের এসব সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এছাড়াও ঢাকা না গিয়ে মাওয়া থেকে মুক্তারপুর ব্রিজ হয়ে নারায়ণগঞ্জ এবং পূর্ব ও দক্ষিণবঙ্গে যাতায়াতে শর্টকাট রাস্তা হিসেবে কয়েক লাখ মানুষ আসা যাওয়া করে এ সড়ক পথ দিয়ে। এতে যেকোনো সময় এই বেইলিব্রিজে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণসহ ৫ টনের অতিরিক্ত বহন নিষিদ্ধ করে সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিতে ব্রিজটি দিয়ে ছয় চাকা সম্বলিত ট্রাকে আনুমানিক ২০ টন মালামাল নিয়ে পারাপার হচ্ছে এতে উপজেলার মানুষকে দুঃশ্চিন্তায় ফেলেছে। পুরনো নড়বড়ে বেইলি ব্রিজ দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই এলাকাবাসীর। এ ছোট ব্রিজগুলোর কারণে প্রায়ই লেগে থাকে যানজট। ঘটছে নানান দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী বলছেন, ব্রিজগুলো ভেঙে নতুন করে পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা হোক। অথবা কিছু কিছু ব্রিজ ভেঙে সড়ক নির্মাণ করা হোক।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাওয়া থেকে বালিগাঁও বাজার পর্যন্ত ছয়টি নড়বড়ে বেইলি ব্রিজ রয়েছে। লৌহজং, টঙ্গীবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ সদর ও শ্রীনগর এ চার উপজেলার মানুষ এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচল করে। বেইলি ব্রিজগুলো উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ছাতা মসজিদ, বেজগাঁও ইউনিয়নের মালিরঅংক বাজার, গাওদিয়া ইউনিয়নের ঘোলতলী, জোড়পোল ও পূর্ব বুইদা, খিদিরপাড়া ইউনিয়নের খেতেরাপাড়া ও ইছামতি নদী (ডইরি তালতলা খাল) এলাকার প্রধান সড়কে অবস্থিত।
ছোট নড়বড়ে ব্রিজগুলো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে, স্থানীয় গাংচিল পরিবহন, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকাপ, সিএনজি, প্রাইভেটকার, আটোরিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ শত শত পরিবহন।
পথচারী আলী আহম্মেদ জানান, ছোটবেলা থেকেই ব্রিজগুলোর করুণ অবস্থা দেখছি। মাঝে মাঝে আটোরিকশা চাকা আটকে যায়। ফলে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে। আটোচালকরা জানান, এ উপজেলায় অনেকগুলো লোহার ব্রিজ আছে। অন্য সব উপজেলায় এতো লোহার ব্রিজ নেই। আমরা সারাদিন আটো চালাই। রাস্তায় কিছু কিছু কারণে দুর্ঘটনা হয়, এরমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ থাকায় অনেক দুর্ঘটনা ঘটে বলে দাবি এ চালকদের।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমরা রোড এন্ড হাইওয়ে, সড়ক ও সেতু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে অফিসিয়ালী কথা বলবো। সিদ্ধান্ত মতে, যেখানে যেখানে ব্রিজ থাকার দরকার আছে সেখানে পাকাব্রিজ হোক বা বেইলিব্রিজ হোক নির্মাণে ব্যবস্থা নেয়া হয়।