মোঃ জুয়েল রানা, স্টাফ রিপোর্টারঃ
নার্সারি করে সফলতার মুখ দেখছেন কুমিল্লা তিতাস উপজেলার শৌখিন বৃক্ষপ্রেমিক প্রবাস ফেরত আলী হোসেন। তিতাস উপজেলার পাশেই কড়িকান্দি গ্রামে নিজের ৪ শতাংশগ জমিতে তিনি গড়ে তুলেছেন ৫০ থেকে ৬০ ধরনের দেশি–বিদেশি গাছের বিশাল ভান্ডার।
এছাড়াও তিনি উন্নত মানের বীজ ও চারা সংগ্রহ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। যেখানেই ভালো বীজ ও চারা খবর পান সেখানেই থেকে চারা সংগ্রহ নিয়ে আসেন।
আলী হোসেন একসময় প্রবাসী ছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছর প্রবাস জীবন শেষ করে ২০১৪ সালে দেশে চলে আসনে একেবারে। দুশ্চিন্তায় পরে যায় কি করবে দেশে। প্রথম নিজের সাড়ে ৫ শতাংশ ভরাট জমির এক পাশে একটি চায়ের দোকান দেয় এতে বেশী বেচাবিক্রি না হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেন দোকানের পাশেই খালি জায়গায় নার্সারি করবেন। সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৫ হাজার টাকা পুজি নিয়ে বীজ থেকে বিভিন্ন জাতের চারা করে নার্সারি শুরু করেন। শুরুটা শখের বসে হলেও বর্তমানে আয়ের উৎসও হয় এই নার্সারি থেকে।সফলতাও পাচ্ছেন বাণিজ্যিকভাবে।
নার্সারিতে রয়েছে, আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, পেয়ারা, বেদেনা, মরিচ, আপেল কুল, আপেল, কমলা, মাল্টা, পেঁপে, আমড়া, ড্রাগন, জলপাই, লেবু, তিনফল, সফেদা, ডালিমসহ প্রায় ৫০-৬০ রকমের দেশি–বিদেশি ফলের চারা রয়েছে।
অপর দিকে শোভাবর্ধনকারী গোলাপ, বেলি, জবা, জুঁই, গন্ধরাজ, হাসনাহেনা, বাগানবিলাস, পাতাবাহার, কৃষ্ণচূড়া, মাধবীলতা, ডালিয়া ও নয়নতারাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ফুলের চারা।
এ ছাড়াও এ নার্সারিতে রয়েছে এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা, আদা , শতমূলী, তুলসীসহ বিভিন্ন মসলা, ঔষধি গাছ, কাঠের গাছ ও সবজির চারা।
এবিষয়ে নার্সারি মালিক আলী হোসেন বলেন, আমি ছোট বেলা থেকে গাছ পাগল। গাছ রোপণ করতে এবং গাছের চারা তৈরি করতে পছন্দ করতাম। তাই দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষ করে চায়ের দোকানের পাশাপাশি শখের বসে নিজের ৪ শতাংশ জায়গাতে বিভিন্ন ফল, ফুল ও বনজ গাছের চারা সংগ্রহ করে নার্সারি শুরু করেছি। মাত্র ৬ মাসেই সফলতা পেয়েছি। বর্তমানে আমার নার্সারিতে প্রায় ৬০ রকমের দেশী-বিদেশী গাছের চারা রয়েছে। এই থেকে প্রতিমাসে ৮-১০ হাজার টাকা আয় হয়। সরকারিভাবে যদি কোন সহযোগীতা পাই তাহলে নার্সারিটি আরো বড় আকারে করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে।
তিতাস উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালাহ উদ্দিন বলেন, আলী হোসেন একজন বৃক্ষপ্রেমী মানুষ। তিনি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা সংগ্রহ করেন এবং বীজ থেকে চারা তৈরি করেন। আমরা তার নার্সারি পরিদর্শন করেছি। ভবিষ্যতে তাকে নার্সারি ব্যবস্থাপনা ও ভালো জাতের চারা তৈরি করার জন্য কারিগরি পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।