কুমিল্লার তিতাসে সিয়াম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে তিতাস থানা পুলিশ হত্যাকারীদের কোর্টে প্রেরন

received_5775236319164572.jpeg

মোঃ জহিরুল ইসলাম (পাশা) :
কুমিল্লা জেলা তিতাস উপজেলা সিয়াম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে তিতাস থানা পুলিশ, হত্যাকারীদের কোর্টে প্রেরন।প্রেমে বাধা দেওয়ায় সিয়াম (১৭)কে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিতাস থানা পুলিশ। হত্যার ১২ ঘন্টার মধ্যে তিতাস থানার পুলিশ বিভিন্ন ইউনিটে অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তিতাস থানা পুলিশ। আটককৃত হত্যাকারীরা সকলেই দাখিল পরীক্ষার্থী। তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে একটি প্রেমঘটিত বেপার। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি আমরা উদ্ধার করেছি। আমরা নিশ্চিত হয়েছি আটককৃতদের ৮জনই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। এরা হল
মোঃ সাকিব হোসেন (১৯), পিতা-জয় মিয়া,
মোঃ নাজমুল হাসান (১৯), পিতা-নাজির হোসেন, মোঃ জোনায়েদ ইসলাম শুভ (১৭),মোঃ পিতা-নাজির হোসেন,মোঃ সাইমুম মিয়া (১৯), পিতা-শফিক মিয়া, মোঃমাসুম বিল্লাহ রনি (১৯), পিতা-আওলাদ হোসেন, সর্ব সাং-ব্রাহ্মনচর (নোয়াগাঁও), মোঃ ওমর ফারুক (১৯), পিতা-নুরুল হক, মোঃ জুনায়েদ আহম্মদ সৌরভ (১৯), পিতা-আবুল কাশেম, উভয়সাং-বালুচর, মোঃমুকুল আহমেদ রাব্বি (১৭), পিতা-হেলাল, সাং-করিমাবাদ, সর্বথানা-মেঘনা, তাদের বিরুদ্ধে নিহতের পিতা মোঃ হেলাল উদ্দিন ওরফে বাক্কা মিয়া বাদী হয়ে তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন । খোজ নিয়ে আরো
জানাযায় আটককৃতদের একজন নাজমুল হোসেন তিতাসের পার্শ্ববর্তী মেঘনা উপজেলার বাসিন্দা এবং ওই এলাকার ব্রাহ্মণচর সিনিয়র আলিম ও ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে নিহত সিয়ামের চাচাতো বোনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওই কিশোরীও ব্রাহ্মণচর মাদরাসার শিক্ষার্থী। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের সম্পর্ক চলে আসছিল। দাখিল পরীক্ষা শুরুর কয়েক দিন আগে নাজমুল ও তার বন্ধুরা ওই কিশোরীর এলাকায় ঘুরতে যায়। বিষয়টি সিয়ামের নজরে আসলে সে নাজমুল ও তার বন্ধুদের ওই এলাকায় যেতে নিষেধ করে।
এদিকে চোখ দিবা না’ বলে তাদের এলাকা থেকে বের হয়ে যেতে বলে সিয়াম।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নিবে বলে,পরীক্ষা শুরুর আগেই নাজমুল ও তার বন্ধুরা মিলে পরীক্ষার সময়টায় কেন্দ্রের পাশে অবস্থান করবে বলে গত ১৬ তারীখে তিতাসের গাজীপুর আজিজিয়া সিনিয়র দাখিল মাদরাসার পাশে সাময়িক সময়ের জন্য চারতলা ভবনের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়।
ঘটনার দিন সিয়াম তার এক চাচাতো ভাইকে নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে যায়। নাজমুল ও তার বন্ধুরা পরীক্ষা শেষে বের হলে সামনে নাজমুলকে দেখতে পেয়ে তাকে ডেকে নিয়ে যায় স্থানীয় একটি মাঠ সংলগ্ন চা দোকানে। সেখানে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে নাজমুলের বন্ধু সাকিব ভাড়া বাসায় গিয়ে একটি চাকু নিয়ে আসে সিয়ামকে হত্যার উদ্দেশে। এ সময় নাজমুলের আরেকজন সিয়ামকে চেপে ধরে । তারপর সাকিব সিয়ামের পিঠের বাম দিকে দুই বার ছুরিকাঘাত করে।
এতে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দৌড়ে পালিয়ে যায় নাজমুল, সাকিব ও তার বন্ধুরা।তখন কিছু পরীক্ষার্থী সিয়ামকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top