নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাষরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং তার সমর্থকদের বাড়িঘরে সন্ত্রাসী দের হামলায় ভাঙচুর লুট পাটের ঘটনায় গ্রাম ছাড়া কয়েকশো মানুষ।
এই হামলার জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান ও তার লোকজনদের দায়ী করছেন তারা। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের মামলা না নিয়ে বরং পুলিশ উল্টো হামলাকারীদের মামলায় গ্রামবাসীদের কে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান সহ এলাকার গন্যমান্য অনেকেই।
পরিবার ও প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপনে সবাই যখন গ্রামে তখন ঘরছাড়া ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাষরা ইউনিয়নের পশ্চিম চাষরা এলাকার 15 টি পরিবারের পুরুষ।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ স্থানীয় একটি বিদ্যালয় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও শিল্পপতি ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার কে প্রধান অতিথি করাকে কেন্দ্র করে গেল রোববার বিকেলে তার কর্মী সমর্থকদের বাড়িঘরে এ হামলা করা হয়।
চাষরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহেরের সমর্থক ও ভাড়াটিয়া লোকজন হামলা চালিয়ে অন্তত 20টি বাড়ি ও দশটি দোকান ভাঙচুর করে এতে দুইজন গুলি বৃদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।
ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারকে সমর্থন করায় এ হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীগণ
পরে সংবাদ সম্মেলন করে হামলা লুটপাটের বিষয় বিচার দাবি করেন।
চাষরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান অভিযোগ করেন দুই থেকে আড়াইশো সন্ত্রাসী এসে পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়িতে এসে ঘর ও দোকানপাটে এ হামলা চালায় পুলিশ তাদের মামলা না নিয়ে, উল্টো হামলা কারীদের মামলা নিয়ে তাদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ আসে।
এদিকে হামলার জন্য আশ পাস এলাকা থেকে এমনকি চর এলাকা থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার।
এদিকে আবারও হামলার আশঙ্কায় ও গ্রেফতারি পরোয়ানা ভয়ে ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান সহ ১০ পরিবারের লোকজন, এমনকি ঈদেও ঘরে ফিরতে পারেননি তারা।
পুলিশের সহযোগিতায় হামলা র অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ বলছে– তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে,
গ্রামের প্রায় দেড়শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে হামলাকারীদের করা মামলায় গ্রেফতারির ভয়ে রোববার থেকে পুরো এলাকা এখন পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে স্বজনদের ফেরার অপেক্ষায় নিরবে চোখের জল ফেলছে প্রিয় মানুষেরা।