ইমদাদুল ইসলাম,মাধবপুর হবিগঞ্জ প্রতিনিধ:-
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আধুনিক কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়,স্থানীয় কৃষক বদু মিয়ার অধিদপ্তরে আবেদনের প্রেক্ষিতে কোল্ডস্টোরেজের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য এসিল্যান্ডকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলে জেলা প্রশাসক। কোল্ডস্টোরেজের জন্যে আবেদনকারী বদু মিয়া কর্তৃক নির্ধারণ করা ৩০ শতক জায়গা চৌমুহনীর মেস্তুরবাড়িতে আশ্রবপুর মৌজার স্থানীয় এক কোম্পানী কর্মকর্তা ফয়েজ মিয়ার মালিকাধীন।
কৃষক বদু মিয়া অভিযোগ,জেলা প্রশাসনের চাওয়া প্রতিবেদনে উপজেলা ভূমি অফিসের তদন্তকারীরা অনিয়ম করছেন।সার্ভেয়ার শহিদুল ইসলাম ও উপ সহকারি ভূমি কর্মকর্তা মো:কুতুবউদ্দিন ভুল ও মনগড়া প্রতিবেদন দিয়েছেন।ওই জায়গা ভারত সীমান্ত থেকে ২ কিলোমিটার ও উপজেলা থেকে ২৫ কিলোমিটার দুরত্ব দেখিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।বাস্তবে তা নয়।এরা প্রকল্পটি ভন্ডুলের পায়তারা করছেন।এছাড়া প্রস্তাবিত জায়গাটিতে যেন এটি স্থাপন হতে না পারে সে জন্যে ভুল কিছু তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন।বিষয়টি ইউএনওকেও জানিয়েছি।
মাধবপুরের এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার শহিদুল ইসলাম জানান,বিষয়টি যা হয়েছে আমার স্যারের পরামর্শে করেছি।আমার কিছু করার নেই।
এ ব্যাপারে মাধবপুরের এসিল্যান্ড রাহাদ বিন কুতুবকে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আহাদ ছোট্ট মিয়া সর্দার জানান,এই এলাকায় একটা কোল্ডস্টোরেজ হওয়া প্রয়োজন তবে সেটা যেন বাজারের পাশে হলে বেশি ভাল হয়।ভুমি অধিগ্রহনও যাতে সবার জ্ঞাতসারে হয়।কাউকে অতিপ্রাধান্য দেয়া না হয়।আর কোন মুরগী কোম্পানির দুর্গন্ধযুক্ত স্থানেও যাতে না হয়ে সে ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে।
হবিগঞ্জ জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এন এম রেজাউল ইসলাম জানান,এটি স্থাপনের জন্যে চৌমুহনীর মেস্তুরবাড়ীই সে চুড়ান্ত তাই নয়।সেটা ডিসি মহোদয় স্থান ঠিক করবেন।তবে এই এলাকায় একটি কোল্ড স্টোরেজ বিষয় উপযোগিতা রয়েছে।